[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
১০ আশ্বিন ১৪৩২

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা


প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

১৯২৯ সালের শীতের শেষ দিকে হাঙ্গেরির সলনোক আদালতে উঠে আসে এক ভয়াবহ মামলা। কাছের ছোট্ট গ্রাম নাগিরেভে নাকি নারীরাই একে একে তাঁদের স্বামীকে মেরে ফেলেছেন এমন অভিযোগে স্তব্ধ হয়ে যায় সবাই। নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে জানা যায়, ১৯১১ থেকে ১৯২৯ সালের মধ্যে আর্সেনিক প্রয়োগে অর্ধশতাধিক পুরুষ মারা গেছেন। অভিযুক্ত নারীদের নাম দেওয়া হয় “অ্যাঞ্জেল মেকারস”।

এই কাহিনির কেন্দ্রে ছিলেন এক ধাত্রী, ঝুঝানা ফাজেকাশ। স্থানীয় চিকিৎসক বা পুরোহিত না থাকায় তিনিই হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীর ভরসা। কিন্তু যেসব নারী মাতাল, নির্যাতনকারী বা অবিশ্বস্ত স্বামীর কাছে অসহায় হয়ে পড়তেন, তাঁদের কানে ফাজেকাশ শোনাতেন এক ভয়ংকর সমাধাননিজ হাতে তৈরি আর্সেনিক। নিঃশব্দে শুরু হয় মৃত্যুর মিছিল।

কবর থেকে তোলা ৫০টি মরদেহের মধ্যে ৪৬টিতেই মেলে বিষের প্রমাণ। গ্রেপ্তারের আগেই ফাজেকাশ নিজেই বিষ খেয়ে জীবন শেষ করেন। বিচার শেষে ২৬ নারীকে আদালতে হাজির করা হয়, আটজনের মৃত্যুদণ্ড হয়, অনেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

কেন এমন পথ বেছে নিলেন নারীরা? হয়তো চিরন্তন দারিদ্র্য, হয়তো লোভ, কিংবা স্বামীর অনুপস্থিতিতে রুশ বন্দীদের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক সব মিলিয়ে তাঁদের জীবন একসময় পরিণত হয় বিদ্রোহে। অনুমান করা হয়, নাগিরেভ আশপাশে তিন শতাধিক পুরুষ বিষক্রিয়ায় মারা যান।

আজ সেই গ্রাম শান্ত, ইতিহাসের অন্ধকার পাতা চাপা পড়ে আছে। তবু এক বিদ্রূপাত্মক সত্য রয়ে গেছে এই ঘটনার পর নাকি স্বামীদের আচরণে যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছিল।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর