বিদেশি সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখার মতো কর্মকাণ্ডের দায়ে উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে ছয়টি নতুন আইন চালু হয়েছে, যা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সুযোগ বাড়িয়েছে। এসব শাস্তি সাধারণত প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে কার্যকর হয়।
২০২৩ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা কাং গিউরি জানান, তার তিন বন্ধুকে দক্ষিণ কোরীয় কনটেন্ট রাখার দায়ে হত্যা করা হয়। তিনি মাত্র ২৩ বছর বয়সী এক বন্ধুর বিচার নিজ চোখে দেখেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক সতর্ক করে বলেছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে উত্তর কোরিয়ার জনগণ আরও ভয় ও দমন-পীড়নের শিকার হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্যাভাব, অনানুষ্ঠানিক বাজার বন্ধ, জোরপূর্বক শ্রম এবং রাজনৈতিক বন্দিশিবিরে নির্যাতন এখনও চলমান। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হস্তক্ষেপ চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন: