ব্রাজিলের রাজনীতিতে ডানপন্থি ও কট্টরপন্থার প্রতীক হয়ে ওঠা সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনেরোকে ঘিরে আবারও উত্তাল আন্তর্জাতিক মহল। ‘ব্রাজিলের ট্রাম্প’ নামে পরিচিত এই নেতা সম্প্রতি নিজ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে গৃহবন্দি হয়েছেন।
আর এই রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ৪ আগস্ট ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দার ডি মোরেস এক রায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনেরোকে গৃহবন্দিত্বের নির্দেশ দেন।
আদালতের পূর্বশর্ত ভঙ্গ করে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছিলেন। এই ঘটনার জের ধরেই তার জামিন বাতিল করে তাকে গৃহবন্দি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্পপন্থী প্রশাসন এই সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ এবং ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করে কড়া বিবৃতি দিয়েছে।
জাইর বলসোনেরো ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ব্রাজিলের লিবারেল পার্টির প্রধান নেতা এবং কট্টর ডানপন্থি রাজনীতির প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। তার সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এই দুই নেতার রাজনৈতিক আদর্শ ও বক্তব্যে রয়েছে বিস্তর মিল, যার জন্য বলসোনেরোকে ‘ব্রাজিলের ট্রাম্প’ বলে অভিহিত করা হয়।
২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বলসোনেরো পরাজিত হন লুইজ ইনাকিও লুলা দা সিলভার কাছে। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ— তিনি নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দিতে সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং লুলা দা সিলভাকে গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে।
সোর্স: ইনকিলাব
মন্তব্য করুন: