ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয় হামাস। শনিবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতাকামী এ সংগঠনটি।
হামাসের দাবি, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে প্রতিরোধের পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের। যতদিন না জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও পুরোপুরি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন না হবে, অস্ত্র ত্যাগ করবে না তারা।
গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের স্বজনদের সাথে বৈঠকের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, হামাস অস্ত্র সমর্পণে রাজি হয়েছে। তবে উইটকফের দাবি প্রত্যাখ্যান করে শনিবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকবে ততদিন পর্যন্ত তাদের সশস্ত্র লড়াই জাতীয় ও আইন অধিকার।’
হামাস এর আগে মার্কিন দূতের গাজার সফরকে ‘পরিকল্পিত প্রদর্শনী’ বলে নিন্দা জানিছে। গোষ্ঠীটি বলছে, জনগণকে উপত্যকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্ত করাই ছিল উইটকফের গাজা সফরের উদ্দেশ্য।
গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান শর্ত হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে শুরু থেকেই এই ইস্যুতে অনড় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনটি। গত সপ্তাহেই ভেস্তে যায় হামাস-ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা।
সোর্স: যুমনা
মন্তব্য করুন: