[email protected] রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
১৪ আষাঢ় ১৪৩২

বিশ্বে বেড়েছে সামরিক ব্যয়, শীর্ষে যেসব দেশ!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৫ ১৭:০৬ পিএম

ফাইল ছবি

বিশ্বজুড়ে সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েই চলেছে। গত এপ্রিলে সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ ২,৭১৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ ব্যয়ের পরিমাণ ২০২৩ সালের তুলনায় ৯.৪ শতাংশ বেশি। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত এক দশকে এ খাতে খরচ বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।

বিশ্বজুড়ে সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েই চলেছে। গত এপ্রিলে সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ ২,৭১৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ ব্যয়ের পরিমাণ ২০২৩ সালের তুলনায় ৯.৪ শতাংশ বেশি। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত এক দশকে এ খাতে খরচ বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।

এই এক বছরে যে হারে খরচ বেড়েছে, তা ১৯৮৮ সালের পর সর্বোচ্চ। ইউরোপে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ আর মধ্যপ্রাচ্যে গাজা যুদ্ধ ও অন্যান্য সংঘাতকে কেন্দ্র সামরিক খাতে খরচ বেড়েছে। সিপ্রির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করা ১০ দেশ হলো—যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ইউক্রেন, ফ্রান্স ও জাপান। এ ১০ দেশের সামরিক ব্যয়ের তথ্য তুলে ধরা হলো:

১. যুক্তরাষ্ট্র

২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবার শীর্ষে। গত বছর দেশটি সামরিক খাতে প্রায় ৯৯,৭০০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয়ের ৮৯ শতাংশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় খরচ হয়েছে। মূলত রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করা, পারমাণবিক অস্ত্রের আধুনিকায়ন, আকাশ ও সমুদ্রপথে শক্তি বাড়ানো এবং ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে আর্থিক সহায়তা দিতে এসব অর্থ খরচ করা হয়েছে।

২. চীন

তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। ২০২৪ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৩১,৪০০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ১২ শতাংশ। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন মিলেই বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের প্রায় অর্ধেক খরচ করেছে।

গত বছর চীন নতুন স্টেলথ যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও পানির নিচে চালিত যান চালু করেছে এবং পরমাণু অস্ত্র মজুত দ্রুত বাড়িয়েছে। একই বছর চীন মহাকাশ ও সাইবার বাহিনীও গঠন করেছে।

৩. রাশিয়া

২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশের তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান তৃতীয়। গত বছর দেশটি সামরিক খাতে ১৪,৯০০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৫.৫ শতাংশ।

২০২৪ সালে রাশিয়ার সামরিক বাজেটের বড় অংশ ব্যয় হয়েছে অস্ত্র খাতে। বিশেষ করে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালানোর জন্য অস্ত্র ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এ ব্যয় করা হয়েছে।

৪. জার্মানি

সামরিক ব্যয়ের তালিকায় জার্মানির অবস্থান চতুর্থ। ২০২৪ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৮,৮৫০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩.৩ শতাংশ। নতুন অস্ত্র কেনা ও সামরিক গবেষণায় অর্থ ব্যয় করেছে জার্মানি। একই বছর জার্মানি ইউক্রেনকে ৭৭০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সহায়তা।

৫. ভারত

২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে ভারত। ২০২৪ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৮,৬১০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩.২ শতাংশ। গত এক দশকে দেশটির সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

৬. যুক্তরাজ্য

সামরিক ব্যয়ের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। ২০২৪ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৮ হাজার ১৮০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩ শতাংশ। আর গত এক দশকে দেশটির সামরিক ব্যয় বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

৭.সৌদি আরব

সামরিক ব্যয়ের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে আছে সৌদি আরব। ২০২৪ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৮,০৩০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩ শতাংশ।

৮. ইউক্রেন

২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশের তালিকায় ইউক্রেনের অবস্থান অষ্টম। ২০২৪ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৬,৪৭০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ২.৪ শতাংশ।

৯. ফ্রান্স

সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশের তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান নবম। ফ্রান্সও ২০২৪ সালে ইউক্রেনের মতোই সামরিক খাতে ৬,৪৭০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ২.৪ শতাংশ।

১০.জাপান

২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা দেশের তালিকায় জাপানের অবস্থান দশম। ২০২৪ সালে দেশটি সামরিক খাতে ৫,৫৩০ কোটি ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ২ শতাংশ। আর গত এক দশকে দেশটির সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।

সোর্স: প্রথম আলো

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর