গাজায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইসরাইলের একটি সাহায্যকেন্দ্রের কাছে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত বিবিসি’র প্রতিবেদন বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে।
গত ১ জুন রবিবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে হতাহতদের সংখ্যা ও ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরলে, হোয়াইট হাউস ওই প্রতিবেদনকে ‘হামাসের কথা’ বলে কটাক্ষ করেছে। তবে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচার সংস্থাটি জোরালোভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
চলতি জুনের প্রথম সপ্তাহে, গাজা উপত্যকায় সহিংসতা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই রবিবার রাফাহ এলাকায় একটি মানবিক সাহায্যকেন্দ্রের আশেপাশে গুলিবর্ষণের ঘটনায় অন্তত ৩১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান বলে জানায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা সিভিল ডিফেন্স। বিবিসি এই তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা হামাসের বক্তব্যকে "অন্ধভাবে গ্রহণ" করেছে এবং একটি প্রতিবেদন মুছে ফেলেছে। তিনি এই প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তবে বিবিসি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা কোনো প্রতিবেদন মুছে ফেলেনি। বরং যুদ্ধক্ষেত্রভিত্তিক সংবাদ পরিবেশনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেদন আপডেট করা হয়েছে।
বিবিসি আরও উল্লেখ করে, হোয়াইট হাউস একটি ফ্যাক্টচেক ভিডিওর সঙ্গে তাদের মূল প্রতিবেদনের বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে আলাদা বিষয় এবং এতে সংবাদ পরিবেশনে কোনো প্রভাব পড়েনি।
সংবাদমাধ্যম হিসেবে স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বিবিসি গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পরিবেশনের গুরুত্বের কথা পুনরায় উল্লেখ করে। তারা গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সোর্স: ডেইলি জনকন্ঠ
মন্তব্য করুন: