[email protected] শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব ট্রাম্পের!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫ ১৫:০৫ পিএম

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফের আলোচনায় এলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আবারও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘গোল্ডেন ডোমে’ বিনামূল্যে যুক্ত হতে চাইলে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে বলেন, কানাডা যদি আলাদা জাতি হিসেবে থাকতে চায়, তবে তাদের গোল্ডেন ডোম প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হলে কোনো খরচ লাগবে না।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আসছেন। তিনি একাধিকবার গ্রিনল্যান্ড, গাজা ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কানাডার সঙ্গে অভিন্ন সীমান্ত থাকায়, দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তিনি বারবার প্রকাশ্যে কথা বলেন, যা দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বৃহৎ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘গোল্ডেন ডোম’ নির্মাণ করা হবে, যার সম্ভাব্য ব্যয় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এই প্রকল্প ২০২৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের পথে এগোবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, কানাডা এই প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তবে কানাডার পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, তারা সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেই এই প্রকল্পে যুক্ত হতে চায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, কানাডা কখনো বিক্রির জন্য নয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি চলতি মাসের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস সফরকালে ট্রাম্পকে এই বার্তাই দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে নর্থ আমেরিকান এরোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (NORAD)-এর সদস্য হিসেবে আন্তঃমহাদেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অংশীদার। তবে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গোল্ডেন ডোম প্রকল্পটি শুধু ব্যয়সাধ্যই নয়, বরং প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক দিক থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

সোর্স: ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর