এবার পাকিস্তানকে ‘বুলেট’ সতর্কতা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৬মে মোদি তার শাসনকালের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুজরাটের ভূজে এক জনসভায় পাকিস্তানের জনগণের উদ্দেশে বলেন, পাকিস্তানের জনগণকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা শান্তির পথে চলবে, নাকি সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে ধ্বংস ডেকে আনবে।
মোদী বলেন, পাকিস্তান যদি শান্তিতে রুটি খেতে চায়, তবে তাদেরকে সন্ত্রাসবাদ পরিত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় ভারতের পক্ষ থেকে কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি দাবি করেন, ভারতের প্রতিশোধ এতটাই তীব্র ছিল যে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলো আজ ‘আইসিইউ’তে। মোদী দাবি করেন, ভারতের সেনাবাহিনীর সাহসিকতার কারণে পাকিস্তান সাদা পতাকা তুলতে বাধ্য হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ভারত আগেই সতর্ক করেছিল তাদের লক্ষ্য সন্ত্রাসী অবকাঠামো, কিন্তু পাকিস্তান সেই সতর্কতা উপেক্ষা করেছিলো এবং এখন সেই ভুলের ফল ভোগ করতে হচ্ছে। এর আগে গুজরাটের দাহোদে এক জনসভায় মোদী 'অপারেশন সিন্দুর' প্রসঙ্গে বলেন, এটি কেবল একটি সামরিক অভিযান ছিল না, বরং ভারতের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও আবেগের প্রতিফলন।
মোদী পাকিস্তানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা কী অর্জন করেছ? ভারত এখন চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। আর পাকিস্তান কোথায়?’ যারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করেছে, তারা পাকিস্তানীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে।
এই সময় বরোদারায় আয়োজিত রোডশোতে অংশ নেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিবারও। কর্নেল কুরেশি হলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই নারী কর্মকর্তার একজন, যিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের ব্রিফিং করেছিলেন। এই সফরে ৫০ হাজার কোটি রুপির বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি।
সোর্স: চ্যানেল ২৪
মন্তব্য করুন: