প্রযুক্তি জগতে নতুন এক দিগন্তের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। এবার সেই যাত্রায় বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে চীন।
দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ৬জি নেটওয়ার্ক চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
চলমান ‘গ্লোবাল ৬জি কনফারেন্স ২০২৫’-এ বৃহস্পতিবার চায়না ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমির বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ উ হ্য ছুয়ান এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ৬জি শুধু আগের প্রজন্মের চেয়ে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক নয়, এটি একটি প্রযুক্তিগত বিপ্লব।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১জি থেকে ৪জি পর্যন্ত প্রযুক্তির ব্যবহার সীমাবদ্ধ ছিল কেবল ভয়েস ও ডেটা সেবার মধ্যে। পরে ৫জি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ে ব্যবহৃত হতে শুরু করলেও প্রত্যাশিত হারে শিল্প খাতে অগ্রগতি আসেনি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই ৬জি নিয়ে গড়ে উঠছে নতুন প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ।
উ হ্য ছুয়ান বলেন, আগামী প্রজন্মের স্মার্টফোন হবে সম্পূর্ণ এআই-চালিত, যেগুলো শুধু কনটেন্ট ব্যবহারে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ব্যবহারকারীদের আরও দ্রুত ও সহজে কনটেন্ট তৈরি করতেও সক্ষম করে তুলবে।
চীনের বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য এবং পারপল মাউন্টেন ল্যাবরেটরিজের পরিচালক ইয়ু সিয়াওহু জানান, ৬জি প্রযুক্তি শুধু উচ্চগতির ইন্টারনেট নয়, বরং এটি সেন্সিং এবং স্বল্প উচ্চতার কমিউনিকেশন সিস্টেমসহ নতুন প্রযুক্তির যুগের সূচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, ৬জি যুগে যোগাযোগ, কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল একত্র হয়ে গড়ে তুলবে একটি সুপার-কনভার্জড প্রযুক্তি ব্যবস্থা।
চীনের চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরে শুরু হওয়া এই গ্লোবাল ৬জি কনফারেন্স চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয়—‘ফ্রন্টিয়ার ইনোভেশন ড্রাইভিং ৬জি ডেভেলপমেন্ট’।
সোর্স: বাংলানিউজ২৪.কম
মন্তব্য করুন: