ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের লক্ষ্য করে দেশটিতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় নারী শিশুসহ কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হুতিদের ওপর হামলার ঘটনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ‘ইরানের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের কোনো অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। ১৯৭৯ সালেই সেই যুগের অবসান হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার জন্য আমেরিকা সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ বলে মনে করে বিশ্ব। ইসরাইলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন। ইয়েমেনি জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় ‘নরক বৃষ্টির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হুতিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তেহরানকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইরানকে অবিলম্বে হুতিদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে হবে। ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় ‘আমেরিকা তোমাকে সম্পূর্ণ জবাবদিহির আওতায় আনবে। এটা কিন্তু তোমাদের জন্য ভালো হবে না।’
আল জাজিরা বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শনিবার রাত থেকে ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্যবস্তুতে জোরালো হামলা শুরু করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে ‘ভয়ংকর পরিণতি’ ঘটতে পারে।
জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ইয়েমেনে প্রথমবারের মতো এই সামরিক অভিযান চালানো হলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই হামলায় কয়েক দিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহও চলতে পারে বলে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গাজায় ইসরাইলে অবরোধ বন্ধ না হলে ইসরাইলি জাহাজ লক্ষ্য করে নতুন করে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। এরমধ্যেই হুতিদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমেরিকার এই কাপুরুষোচিত আগ্রাসন আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নীতিকে পরিবর্তন করবে না।’
তারা আরও জানিয়েছে, ‘এই হামলার পাল্টা জবাব দেয়া হবে এবং ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো ধরনের সংঘাতের জন্য প্রস্তুত।’
সোর্স: সময়
মন্তব্য করুন: