ajbarta24@gmail.com সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১

রাতারাতি হারিয়ে গেলো জাম্বিয়ার কাফুয়ে নদী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:০৩ পিএম

সংগৃহীত

জাম্বিয়ার মানচিত্র থেকে এক রাতেই হারিয়ে গেলো আস্ত একটা নদী। ভাবতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই হয়েছে এ ঘটনা। দেশটির বাণিজ্যিক নগরী কিতওয়ায় কপার খনির বাঁধ ভেঙে কাফুয়ে নদীতে ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত বর্জ্য। নদীর পানি নিমিষেই শুকিয়ে যায়। শনিবার (১৫ মার্চ) সংবাদ সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, চিনা মালিকানাধীন একটি কপার খনির ড্যাম ধসে পড়ে। এতে থাকা প্রায় ৫০ মিলিয়ন লিটার অ্যাসিডযুক্ত বিষাক্ত বর্জ্য ও ভারী ধাতু মিশে যায় খনির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাফুয়ে নদীতে।

টেইলিং অ্যান্ড মাইন প্রকৌশলী হলি পলা বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই সর্বনাশ হয়ে গেছে। ৩০ মিনিটের মাঝে পুরো ড্যাম ধসে বিষাক্ত এসিড নদীর পানির সাথে মিশে যায়। এটা ছিলো একটা দুঃস্বপ্নের মতো।

কাফুয়ে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা এ ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষিকাজ, মাছ ধরার সাথে জড়িত কৃষকরা এখন শুধু হা-হুতাশ করছেন। হাজার হাজার মৃত মাছ দূষণের ফলে ভেসে উঠেছে। ভূট্টা এবং চীনা বাদামের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।

বাংলাভিশনের গুগল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন
পরিবেশবিদ চিলেকওয়া মাম্বা বলেন, এটা পরিবেশগত বিপর্যয়। খনির বিষাক্ত এসিড নদীর পানির সাথে মিশে যাওয়ায় তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষাক্ত বর্জ্য মাটির সাথে মেশায় নষ্ট হয়েছে কৃষকের ফসল, মারা গেছে জেলেদের লাখ টাকার মাছ। শুধু তারাই না বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর জীবনও সংকটাপন্ন।

মাছ ব্যবসায়ী জুলিয়েট বুলায়া বলেন, ড্যাম ধসের পর আমার পুকুরে চুনের মতো বর্জ্য প্রবাহিত হতে দেখেছি। মরে ভেসে উঠেছে সব মাছ। আমি কেবল অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম, আমার বিনিয়োগের এত টাকার এখন কি হবে?

ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর মেরামত করা হয়েছে ড্যামের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ। জাম্বিয়ার মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগ কাফুয়ে নদী থেকে ধরা মাছ বাসিন্দাদের না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

সোর্স: যুমনা

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর