প্রকাশিত:
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেন গ্রোজনিতে ড্রোন হামলা চালানোর সময় আজারবাইজানের বিমানটি কাজাখস্তানে অবতরণের চেষ্টা করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোজাভিয়াতসিয়ার প্রধান দমিত্রি ইয়াদরভ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের শুরুতে চেচনিয়া অঞ্চলে ইউক্রেন যখন ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল, ওই সময় আজারবাইজানের একটি বিমান কাজাখস্তানের দিকে মোড় নেয়ার আগে অবতরণের চেষ্টা করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।’
আজারবাইজানের এক আইনপ্রণেতা ও বিমান বিশেষজ্ঞ বুধবারের বিমান দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষার গোলাবর্ষণের ওপর। তবে এ নিয়ে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের প্রধান দমিত্রি ইয়াদরভ কোনো মন্তব্য করেননি।
আজারবাইজান অ্যায়ারলাইন্সের ‘এমব্রেয়ার ১৯০’ বিমানটি সে দেশের রাজধানী বাকু থেকে রুশ প্রজাতন্ত্রী চেচনিয়ার আঞ্চলিক রাজধানী গ্রোজনির দিকে উড়ে যাচ্ছিল। কাসপিয়ান সাগর বরাবর কাজাখস্তানের আকতাউয়ে এটি বাঁক নেয় এবং অবতরণের চেষ্টা করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাকি ২৯ জন ব্যক্তিই আহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে তা নিয়ে আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি। দুর্ঘটনাটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত হতে চলেছে।
তবে আজারবাইজান সংসদের এক সদস্য রাসিম মুসাবেকভ সে দেশের সংবাদ সংস্থা তুরানকে বৃহস্পতিবার বলেছেন, গ্রোজনির আকাশসীমায় থাকাকালীন বিমানে গুলি করা হয়েছে। তিনি রাশিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতেও বলেছেন।
মুসাবেকভের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ কী তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব তদন্তকারীদের।
পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, ‘বিমানের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তাই কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মূল্যায়ন করার অধিকার আমাদের রয়েছে বলে মনে করি না।’
রুশ বিমান চলাচলের প্রধান ইয়াদরভ বলেন, গ্রোজনির ঘন কুয়াশার মধ্যে বিমানটি অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এদিকে ইউক্রেনের একাধিক ড্রোন গ্রোজনিকে নিশানা করেছিল, তাই কর্তৃপক্ষ বিমান চলাচলের জন্য এলাকাটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
ইয়াদরভ আরো বলেন, গ্রোজনিতে দু’বার অবতরণের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর বিমানচালককে বিকল্প হিসেবে অন্য বিমানবন্দরে নামার সুযোগ দেয়া হয়। তবে তিনি কাসপিয়ান সাগর বরাবর আকাতাউতে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গ্রোজনি বিমানবন্দর এলাকার অবস্থা বেশ জটিল। এমন অনেক পরিস্থিতি রয়েছে যার জন্য যৌথ তদন্ত জরুরি।’
আজারবাইজানের প্রসিকিউটর জেনারেলের দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে আজারবাইজানের একাধিক তদন্তকারী গ্রোজনিতে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন: