প্রকাশিত:
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গমনিচ্ছুদের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে উন্মুক্ত হবে ট্যুরিস্ট ভিসা। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ হামুদি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, জুলাই বিপ্লবে কিছু প্রবাসী নিজের ভাইয়ের, সন্তানের মৃত্যু ও গণহত্যা সহ্য করতে না পেরে নিজের ক্ষতি হবে জেনেও আমিরাতে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগকে কীভাবে শ্রদ্ধা জানাব তা আমার জানা নেই। মনে রাখতে হবে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে আমাদের আরও স্বতঃস্ফূর্ত হতে হবে। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব উন্নয়নে বাংলাদেশিদের অবদান অনস্বীকার্য। এ দেশের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আর উঁচু উঁচু দালান সবকিছুতেই বাংলাদেশি শ্রমিকদের ঘাম লেগে আছে। তাই আমরা আশা করতে চাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিভিন্ন পেশায় দক্ষ জনবল নিয়োগে আরও বেশি আন্তরিক হবেন। বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি প্রফেশনাল এবং অদক্ষ শ্রমিকদের ভিসার বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত আনসারী।
মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, ড. ইউনূস এমন এক ব্যক্তি, পৃথিবীব্যাপী তার প্রতি মানুষের সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ আকাশচুম্বি। পৃথিবীর যে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান তার অনুরোধ ফেলতে পারেন না। আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানও তার অনুরোধ ফেলতে পারেননি। বাংলাদেশের মানুষ আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি এজন্য আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। আমিরাতের সঙ্গে অচিরেই ভিসা জটিলতা কেটে যাবে। এ দেশের সঙ্গে আমাদের যে সুদৃঢ় বন্ধুত্ব রয়েছে, তাতে কখনো চিড় ধরার সম্ভাবনা নেই।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে সুখবর দেন বাংলাদেশের নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত। আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের ভিসা জটিলতা দূর হবে। চালু হবে ভ্রমণ ভিসাসহ সব ধরনের ভিসা।
ইউএই রাষ্ট্রদূত আল হামুদি বলেন, বাংলাদেশসহ অসংখ্য দেশের জন্য আমিরাতে ভিসা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে যেখানে আমিরাতে বাংলাদেশির সংখ্যা মাত্র সাত থেকে আট লাখের মধ্যে ছিল, সেখানে বর্তমানে বাংলাদেশির সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যেটা অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
এ সময় কর্মজীবন শেষে বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম হিসেবে বেছে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত মুশফিক আমার বন্ধু। বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার লড়াই সংগ্রাম আমাকে উৎসাহিত করে। তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত।
ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাকির হোসেন, ড. রেজা খান, ইঞ্জিনিয়ার এমএ সালাম খান, দুবাইয়ের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল আশফাক হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: