প্রকাশিত:
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে তাকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরু থেকেই ইসরাইলকে দায়ী করে আসছিল ইরান ও হামাস। তবে এত দিন তা স্বীকার করেনি ইসরাইল।
নিহত হওয়ার সময় ইসমাইল হানিয়া তেহরানের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালার কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর কয়েক সপ্তাহ আগে ওই কক্ষে বোমা স্থাপন করে রেখেছিলেন ইসরাইল কর্মকর্তারা। সেই বোমা বিস্ফোরণেই তার মৃত্যু হয়। এর আগের দিন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হানিয়া।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, আজ যখন হুথি সন্ত্রাসীরা ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। আমি তাদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই- আমরা হামাসকে পরাজিত করেছি, হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছি, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুতর ক্ষতি করেছি, সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে উৎখাত করেছি, আমরা শত্রুদের অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর আঘাত করেছি। সেইসঙ্গে ইয়েমেনে হুথি সন্ত্রাসী সংগঠনকেও গুরুতর আঘাত করব, যা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
কাটজ আরও বলেন, ‘আমরা হুথির নেতৃত্বকে কতল করব। যেমনটা আমরা তেহরান, গাজা ও লেবাননে হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও হাসান নাসরুল্লাহর ক্ষেত্রে করেছি। ঠিক সেটাই আমরা হোদেইদা ও সানায় করব।’
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলের বোমা হামলায় নিহত হন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর ১৬ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হানিয়ার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করে ইসরাইল।
গত সেপ্টেম্বরে লেবাননেও বিস্তৃত হয় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান। গত ১৫ মাসে বোমা হামলা, গুপ্তহত্যাসহ বিভিন্ন কৌশলে ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলোর নেতাদের হত্যার মিশনে রয়েছে ইসরাইল। এর মধ্যে ইসমাইল হানিয়া ছাড়াও হামাসের আরেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ৩২ বছর ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দেওয়া হাসান নাসরুল্লাহকেও হত্যা করে ইসরাইল।
মন্তব্য করুন: