ajbarta24@gmail.com শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
২৮ পৌষ ১৪৩১

সন্ত্রাস প্রতিরোধে সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গড়ার ঘোষণা ইসরায়েলের

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১২ পিএম

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ:ছবি সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ:ছবি সংগৃহীত

সিরিয়ায় সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে একটি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গঠনের কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। এরই মধ্যে দেশটির দক্ষিণে ওই অঞ্চলে সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটিতে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর বিমান হামলাও জোরদার করেছে ইসরায়েল।

সিরিয়ার অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ‘বেসামরিক অঞ্চলে’ সরে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই অঞ্চলের মধ্যে দামেস্ক এড়িয়ে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মাউন্ট হারমনের সিরীয় অংশও রয়েছে। সেখানে সিরিয়ার পরিত্যক্ত সামরিক ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা।

 

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, তিনি সামরিক বাহিনীকে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি থাকবে না, তবে সেটি নিয়ন্ত্রিত হবে।

এর চেয়ে বেশি বিস্তারিত কিছু জানাননি ইসরায়েল কাৎজ। তবে তিনি বলেন, এই অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্য সিরিয়ার ভূখণ্ডে সন্ত্রাস প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসীদের সংগঠিত হওয়া প্রতিহত করা।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এটাও নিশ্চিত করেন যে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি নৌযান ধ্বংস করা হয়েছে।

বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় একের পর এক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ৪৮ ঘণ্টায় এমন ৪৮০টি হামলা চালানোর খবর জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।


হামলা হয়েছে রাজধানী দামেস্কে ও এর আশপাশে। দামেস্ক ছাড়াও সিরিয়ার হোমস, তারতাস, পালমিরা শহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে সিরিয়ার বিমানঘাঁটি, সামরিক যান, নৌবহর, বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র, অস্ত্রের উৎপাদনক্ষেত্র, গবেষণাকেন্দ্র, অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোকে।


লন্ডনভিত্তিক যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার অতি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে বিমানবন্দর, ওয়্যারহাউস, রাডার, সামরিক সিগন্যাল স্টেশন, বহু অস্ত্র-গোলাবারুদ রয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সূত্রের বরাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর ইতিহাসে সিরিয়ায় অন্যতম বড় হামলা চালানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর