[email protected] রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২০২৫-এ শেয়ারশূন্য বিও হিসাব বেড়েছে ৪৫ হাজারের বেশি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৫ ১৮:০৬ পিএম

গ্রাফিক্স

দেশের পুঁজিবাজারে চলমান মন্দাবস্থা, অধিকাংশ কোম্পানির দরপতন ও কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নিজেদের পোর্টফোলিওতে থাকা সব শেয়ার বিক্রির প্রবণতাও বাড়ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোনো শেয়ারশূন্য বেনিফিশারি ওনার্স অ্যাকাউন্টের (বিও হিসাব) সংখ্যা বেড়েছে ৪৫ হাজার ৩৬৯টি। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য

সিডিবিএলের উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শেষে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৭। সর্বশেষ ৪ জুন শেষে এর পরিমাণ বেড়ে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৯৬টিতে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে শেয়ারধারী বিও হিসাবের সংখ্যা কমেছে ৪০ হাজার ৩৮১টি। ১ জানুয়ারি শেষে পুঁজিবাজারে শেয়ারধারী বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৯। সর্বশেষ ৪ জুন এটি কমে ১২ লাখ ৩১ হাজার ১৬৮টিতে দাঁড়িয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের মোট বিও হিসাবের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ১ জানুয়ারি শেষে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৩৪। সর্বশেষ ৪ জুন মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯৭-তে। এ সময়ের ব্যবধানে মোট বিও হিসাব বেড়েছে ২ হাজার ৭৬৩টি। আলোচ্য সময়ে পুরুষ ও নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যাও বেড়েছে। ১ জানুয়ারি শেষে পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৬১ হাজার ৩৫০ ,যা ৪ জুন শেষে ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৭টিতে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে পুরুষ বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ হাজার ৫০৭টি। অন্যদিকে এ সময়ে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ২৫৬টি। ১ জানুয়ারি শেষে পুঁজিবাজারে নারী বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৮৪। ৪ জুন শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৪০টিতে।

এ বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে এবং কমেছে প্রবাসীদের বিও হিসাব। ১ জানুয়ারি শেষে স্থানীয় বিও হিসাবের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৩টি, যা ৪ জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৫ হাজার ৫৫১টিতে। এ সময়ের ব্যবধানে স্থানীয় বিও হিসাব বেড়েছে ৭ হাজার ১০৮টি। অন্যদিকে এ সময়ে প্রবাসীদের বিও হিসাবের সংখ্যা কমেছে ৩০৫টি। ১ জানুয়ারি শেষে প্রবাসীদের বিও হিসাবের পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৬৯১টি, যা ৪ জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৩৮৬টিতে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স নিম্নমুখী ছিল। বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ২১৮ পয়েন্টে। সর্বশেষ ৪ জুন শেষে ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৫০৯ পয়েন্ট কমেছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও ছিল হতাশাজনক। গত ছয় মাসে ডিএসইতে একদিনে সর্বোচ্চ ৬০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এ সময়ে সর্বনিম্ন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে দেশের পুঁজিবাজারে চলমান মন্দা পরিস্থিতি, একের পর এক কোম্পানির দরপতন এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয় ও মুনাফা কমার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

 

সূত্র: বণিক বার্তা

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর