[email protected] সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গার্মেন্ট রপ্তানি ১.৩৪ বিলিয়ন, মূল্য সংযোজন ৫৮.৯%

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২৫ ১২:০৬ পিএম

ফাইল ছবি

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে দেশ থেকে মোট ১০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে কাঁচামাল আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৪২৫ কোটি ডলার। তার মানে, গত প্রান্তিকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগের প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ছিল ৬১ শতাংশ।

তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকের পর থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন ৬০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে।

পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।

গত দুই অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দেখিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তখন রপ্তানির পাশাপাশি মূল্য সংযোজনও কৃত্রিমভাবে বেড়ে গেছে। পরিসংখ্যানের এই গরমিলের বিষয়টি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সামনে নিয়ে আসে। তারপর রপ্তানির পরিসংখ্যান সংশোধন করা হয়। তাতে গত দুই অর্থবছরের সাত প্রান্তিকে পোশাক খাতে মূল্য সংযোজনের হার কমে যায়।

রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন একলাফে ৫৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তারপরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ছিল। যদিও সংশোধনের পর দেখা যায়, ওই অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে ৬২ শতাংশে নামে। এ ছাড়া গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে সাড়ে ৫৭ থেকে সাড়ে ৬১ শতাংশ হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৯৫১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তখন ৩৮৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল। সেই হিসাবে ওই প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন হয়েছিল ৫৯ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে রপ্তানি হয় ১ হাজার ৩৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। তখন আমদানি হয়েছিল ৪০৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল। তাতে মূল্য সংযোজন দাঁড়ায় ৬১ শতাংশ।

সূত্র: প্রথম আলো

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর