প্রকাশিত:
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এত কম সময়ে এত বেশি প্রবাসী আয় এর আগে আসেনি।
আগস্টে নতুন সরকার গঠনের পর থেকে প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। তবে এবার তিন সপ্তাহেই প্রবাসী আয় এসেছে ২০০ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
প্রবাসী আয়ের এই দ্রুত প্রবাহের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ গতকাল সোমবার শেষ সময়ের হিসাবে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ হয়েছে ২ হাজার ১৬ কোটি ডলার। দীর্ঘদিন পর বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ দুই হাজার কোটি ডলার ছাড়াল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৮০ ডলার দেশে এসেছে। আগের মাস নভেম্বরে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। আর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এটি ছিল গড়ে ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩৩৩ ডলার।
ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় আসার মধ্যে ৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। সব বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। একক ব্যাংক হিসাবে ২১ দিনে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে, ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এরপর অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক রয়েছে সর্বোচ্চ আয় আনার ব্যাংকগুলোর তালিকায়।
প্রবাসী আয়ের প্রবাহ অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ২৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতে, চলতি মাসে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে, যার ফলে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলারের জন্য বেশি দাম দিচ্ছে। এর ফলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আগের চেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন।
প্রবাসী রেমিট্যান্স হাউসগুলো জানায়, বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাংক ১২৪ টাকার বেশি দামে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনছে। সম্প্রতি সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ১২৪ টাকায়, রিয়া মানি এক্সচেঞ্জ ১২৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং ট্যাপট্যাপ সেন্ড ১২৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ডলার কিনেছে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ১২৫ টাকা ৬০ পয়সায় ডলার কিনছে। এর ফলে দেশের ব্যাংকগুলোকে ডলার কিনতে হচ্ছে এসব দামের চেয়ে বেশি দামে। ফলে ব্যবসায়ীদেরও বেশি দামে কেনা ডলারের মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: