মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে সপরিবারের বসবাস করেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মুসাভি আল ফারদিন। জন্মভূমির প্রতি গভীর দায়িত্ববোধ আর বিশ্বের বুকে বাঙালীর কৃতিত্বকে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ নিয়েই এক দশক আগে মার্কিন মুল্লুকে থিতু হওয়া এক যুবক। স্বপ্ন দেখেন ক্ষুধা দারিদ্র আর বৈষম্যহীন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের।
সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি তার ছিলো অমোঘ ভালোবাসা। শিশু-কিশোরদের নিয়ে গড়ে ওঠা মঞ্চমুকুল থিয়েটারে পারফর্ম করেছেন নিয়মিত। আমেরিকাতে স্থায়ী হওয়ার পরও সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি তার মমতাবোধ কমেনি। দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখতে তিনি প্রতিশ্রুতিবব্ধ। প্রবাসে থেকে পরিচালনা করছেন জেড টিভি ও জেড এন্টারটেইমেন্ট নামে দু'টি প্রতিষ্ঠান।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হয়ে ওঠা দেড় যুগের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার লড়াই ছিলো অবিরত। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনকে আরো বেগবান ও সফল করার জন্য বিদেশ থেকে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম মুসাভি আল ফারদিন। ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত, তৎকালীন সরকার পতনের আগে, আমেরিকার সিটি গভর্নর, কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরদের কাছে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে কয়েকটি স্মারক লিপি জমা দেয়া হয়েছিলো। এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন মুসাভি আল ফারদিন।
গত ৩১ মে, শনিবার জেড টিভির ভাইস চেয়ারম্যান ও আরভু ফ্লাইটের প্রেসিডেন্ট মুসাভি আল ফারদিনকে নিউজার্সির একটি অনুষ্ঠানে সিনেটর বেঞ্জি উইম্বার্লি, নিউ জার্সি স্টেট সিনেট আলা আবদেল আজিজ এবং অ্যাসেম্বলি ওম্যান শাভন্ডা ই. সামটার (ডি) সাক্ষরিত একটি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়। মি. ফারদিনের হাতে উক্ত সম্মাননা স্মরক তুলে দেন নিউ জার্সি প্যাটারসনের সিটি মেয়র আন্দ্রে সায়েঘ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অন্যতম নেতা আবুল কালাম, ফরিদ উদ্দিন, কাউন্সিলরস এট লার্জ ও কমিশনার ইমরান হোসাইন প্যাটারসন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: