পাকিস্তানের মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের মৃত্যু হয়েছে আট থেকে ১০ মাস আগে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার করাচির এক ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হুমায়রা আসগর আলির আকস্মিক মৃত্যুতে নতুন মোড় নিয়েছে। অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধারের কয়েকদিন পর অবশেষে তার পরিবার করাচিতে এসে তা গ্রহণ করেছে। যদিও মরদেহ গ্রহণে তার পরিবার অনীহা প্রকাশ করেছিল।
জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তবে মিডিয়া ও জনসাধারণের তীব্র সমালোচনার মধ্যে হুমাইরার পরিবার অবশেষে করাচিতে পৌঁছে তার মরদেহটি গ্রহণ করলো।
করাচির এসএসপি (দক্ষিণ) অফিসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হুমাইরার ভাই নাবিদ আসগর জানান, সংবাদমাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে যে, পরিবার তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল, তা পুরোপুরি সত্য নয়।
নাবিদ জানান, গত ছয় মাস ধরে হুমাইরার ফোন বন্ধ ছিল এবং তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কারণ তিনি প্রায়ই ভ্রমণে থাকতেন। ওর সঙ্গে আমাদের ছয় মাস কোনো যোগাযোগ ছিল না, কিন্তু তাই বলে আমরা চিন্তিত ছিলাম না- এটা ঠিক নয়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুমাইরার মরদেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন দেহ মারাত্মকভাবে পচে গিয়েছিল এবং চেনা যাচ্ছিল না।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মরদেহ এতো বেশি পচন ধরেছে যে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে, ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য চুলের ফিতা, কাপড় এবং রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি।
সোর্স: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন: