কিরগিজিস্তানের আর্সলানবব এলাকায় স্থানীয়রা এখনো পড়ে থাকা সোনালি আখরোট কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, এটি তাঁদের বহু প্রজন্মের অভ্যাস ও আঞ্চলিক পরিচয়ের অংশ। তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক আখরোট বনটি বর্তমানে গভীর সংকটে। অতিরিক্ত পশুপালন, অবৈধ কাঠ কাটা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বন দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।
১ থেকে ২ হাজার মিটার উচ্চতায় বিস্তৃত প্রায় ১৫০ বর্গমাইলের এই বনটি স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনে উৎপাদন কমে গেছে। ২০০০-এর দশকে দিনে যেখানে ১৫ টন আখরোট সংগ্রহ করা যেত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৩–৪ টনে। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বাদামের মানও খারাপ হচ্ছে, ভেতর লালচে হয়ে যাচ্ছে। ১৯৯১ সাল থেকে মধ্য এশিয়ায় গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৈশ্বিক গড় বৃদ্ধির দ্বিগুণ।
স্থানীয়রা নতুন গাছ লাগানোর চেষ্টা করছেন, তবে পানির অভাবে চারাগাছ টিকছে না। তবুও স্থানীয়রা আখরোটকে কেন্দ্র করে নতুন সম্ভাবনা খুঁজছেন।
আর্সলানবব বন শুধু আখরোটের উৎস নয়, এটি স্থানীয় জীবন, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির মূলভিত্তি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবিক চাপ বন রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন: