[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
২৯ কার্তিক ১৪৩২

রহস্যময় ড্রোন আতঙ্ক বাড়ছে ইউরোপে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২১:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গভীর পরিবর্তন এনেছে। প্রতি রাতে বিভিন্ন দেশে ড্রোন হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজছে, বিমানবন্দর ও সংবেদনশীল স্থানে রহস্যময় ড্রোন অনুপ্রবেশ বাড়ছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে, ড্রোন যুদ্ধ মোকাবিলায় ইউরোপ এখনও প্রস্তুত নয়।

এই সংকটের সমাধানে লাটভিয়ার রাজধানীর একটি সাধারণ কারখানায় প্রকৌশলীদের একটি দল কাজ করছেড্রোন প্রাচীরতৈরির লক্ষ্যে। সেন্সর, ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং অস্ত্রনির্ভর এই নেটওয়ার্ক অনুপ্রবেশকারী ড্রোন শনাক্ত, অনুসরণ এবং ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এই ব্যবস্থার মূল অস্ত্র একটি ছোট ইন্টারসেপ্টর ড্রোন, ‘ব্লেজ তিন ফুট লম্বা এই ড্রোনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত।

ব্লেজ প্রথমে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে অপারেটরকে সতর্ক করে। অপারেটর অনুমতি দিলে এর ভেতরে থাকা ২৮-আউন্স ওয়ারহেড বিস্ফোরিত হয়, যাতে লক্ষ্যবস্তু ব্লেজ, উভয়ই ধ্বংস হয়। অরিজিন কোম্পানির সিইও অ্যাগ্রিস কিপুরস জানিয়েছেন, বহু-সংখ্যক, সস্তা এবং নিচুতে-উড়া ড্রোনের হুমকি মোকাবিলায় ব্লেজ উপযুক্ত সমাধান।

রাশিয়ার বিস্তর ড্রোন ব্যবহারের খরচ-অনুপাত ইউরোপের জন্য বড় উদ্বেগ। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া প্রতিদিন ৩০০টির মতো ড্রোন তৈরি করছে, যার প্রতিটির খরচ কয়েক হাজার ডলার মাত্র। সেপ্টেম্বরের এক ঘটনায় পোল্যান্ডের আকাশে প্রবেশ করা সাতটি রুশ ড্রোন ভূপাতিত করতে ন্যাটোকে ৮০ মিলিয়ন ডলারের এফ-৩৫ এবং অতি ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হয়, যে ড্রোনগুলোর অনেকই ছিল মাত্র কয়েক হাজার ডলারের ডিকয়।

লাটভিয়া ইতোমধ্যে ব্লেজ কেনা শুরু করেছে। কিপুরসের দাবি, ইন্টারসেপশন বাতিল হলে ব্লেজ ঘাঁটিতে ফিরে এসে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য থাকে, যা এটিকে আরও সাশ্রয়ী করে তোলে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর