গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধ ও টানা বোমাবর্ষণের কারণে চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, টানা তিন মাস ধরে মানবিক সহায়তা আটকে থাকা শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। খাদ্য, পানি ও ওষুধবাহী সহায়তা ট্রাকগুলো সীমান্তে আটকে আছে। ইসরায়েলের বাধার কারণে সেগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২৫ সালেই অন্তত নয় হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগে চিকিৎসা নিয়েছে। মার্চের শুরুতে ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, শিশুরা শুধু বোমায় নয়, খাদ্যের অভাবেও মারা যাচ্ছে। খাদ্য সহায়তা বন্ধ থাকায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ছে। গত ২রা মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও খাদ্য সহায়তা চালু করেনি ইসরায়েল।
হামাস নেতা আবদেল রহমান শাদিদ অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারকে “যুদ্ধের অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহার করছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবরোধ আন্তর্জাতিক আইন ও চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন।
সোর্স: ইত্তেফাক
মন্তব্য করুন: