প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১০ পিএম
আইসল্যান্ডের জনগণের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে দেশটির রেক্যাজেনেস উপদ্বীপে চলমান আগ্নেয়গিরি । গ্রিনডাভিক শহরের বাসিন্দা ক্লারা হল্ডর্দসডটির ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এই আগ্নেয়গিরি তাদের জন্য একদিকে বিপর্যয়, অন্যদিকে সম্ভাবনার উৎস।
আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ নতুন নয়। তবে সম্প্রতি ক্ৰাফলা আগ্নেয়গিরির কাছে একটি বিশেষ প্রকল্প শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ম্যাগমা চেম্বারের মধ্যে গভীর ড্রিলিং করার পরিকল্পনা করছেন। এটা নতুন ধরনের জ্বালানি উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে। ১৫ বছর আগে এখানে ম্যাগমার সন্ধান পাওয়া গেছে, যা উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বালানি উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
প্রকল্পটি সফল হলে, এটি বিশ্বের জন্য একটি নতুন পরিবেশবান্ধব সবুজ জ্বালানির উৎস হতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম ড্রিলিং পরীক্ষা সম্পন্ন হবে, যা ম্যাগমার গঠন ও গতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে।
ম্যাগমার তাপমাত্রা প্রায় ১ হাজার ৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট, যাতে প্রচলিত ভূ-তাপীয় শক্তির চেয়ে ১০ গুণ বেশি জ্বালানি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি শুধু জ্বালানির চাহিদা মেটাতেই নয়, পরিবেশকে রক্ষা করতেও সাহায্য করবে।
আইসল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, যদি তারা ম্যাগমাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন, তবে এটি একটি সীমাহীন জ্বালানির উৎস হবে। এটা বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এমন একটি প্রযুক্তি মানবতার জন্য নতুন আশা নিয়ে আসবে বলেও বলছেন বিজ্ঞানীরা। সিএনএন।
মন্তব্য করুন: