কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারা দেশে মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করছে সরকার। আর এটা কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারা দেশে মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করছে সরকার। আর এটা কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাভারের রাজালাখ এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারে গতকাল কৃষকের মিনি কোল্ড স্টোরেজ কার্যক্রম ও ‘খামারি’ অ্যাপসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফসলের মৌসুমে কৃষিপণ্যের দাম পড়ে যায়। তা সংরক্ষণ করতে না পারায় কৃষকের লোকসান হয়। এবার ফুলকপির দাম নেমে গিয়েছিল ৫ টাকার নিচে। তাই কৃষক যাতে ফসল সংরক্ষণ করতে পারেন সেজন্য সরকার সবজিপ্রবণ এলাকায় প্রাথমিকভাবে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করবে। আর এটা খুবই কম মূল্যে নির্মাণ করা যাবে।
সরকারের এ উদ্যোগ তুলে ধরে কম কৃষিজমিতে অধিক ফলন ও পচনশীল কৃষিপণ্য সংরক্ষণের বিষয়ে আলোকপাত করেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে খামারি অ্যাপ চালু হয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল সংরক্ষণের জন্য মিনি কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হবে। এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়া হবে কৃষকদের মাঝেও।’
রাজালাখ হর্টিকালচার সেন্টারে এরই মধ্যে দুটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হয়েছে। একটি ঘরকে আধুনিক কোল্ড স্টোরেজে রূপান্তর করা হয়েছে, অন্যটি হলো কনটেইনারভিত্তিক ও সৌরচালিত। বর্তমানে কৃষকরা টমেটো, শসা, লাউ, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, বেগুন, গাজর, ফুলকপিসহ নানা ধরনের শাকসবজি ও ফল সংরক্ষণ শুরু করেছেন। এতে বজায় থাকবে ফসলের গুণগত মান এবং বাজারে সঠিক মূল্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ইটভাটায় কৃষিজমির টপ সয়েল নিয়ে জমি নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। এটা যদি হতে থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অন্ধকার হয়ে যাবে। এটি যেন না হয় সেজন্য আমরা কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করতে যাচ্ছি।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তালহা জুবাইর মাসরুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোর্স: বণিক বার্তা
মন্তব্য করুন: