[email protected] মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘ওরে মন, ওরে মন’—ভাইরাল গানের গীতিকার এম এ আলম শুভ

মো. আখলাকুজ্জামান

প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২৫ ২১:০৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫ ৯:০৯ পিএম

গীতিকার এম এ আলম শুভ, শিল্পী সজীব দাশ , অভিনেতা জোভান

সাম্প্রতিককালে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া গান ‘দহন’ দর্শক ও শ্রোতাদের হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে গানটির একটি লাইন, “ওরে মন, ওরে মন, এ কেমন প্রেমেরই দহন”, মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়। গানটির কথার পেছনে রয়েছেন নতুন প্রজন্মের একজন প্রতিভাবান গীতিকার, এম এ আলম শুভ, যিনি তার আবেগঘন এবং বোধগম্য কথার জন্য সঙ্গীতপ্রেমীদের মন জয় করছেন।

গানটি কণ্ঠ ও সুর দিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী সজীব দাশ, এবং এটি ব্যবহার করা হয়েছে নাটক ‘আশিকি’-তে, যা নির্মাণ করেছেন পরিচালক ইমরোজ শাওন। নাটকে অভিনয় করেছেন তরুণ অভিনেতা জোবান ও নিহার। বিশেষ করে জোভান চরিত্রের অভিনয়ে অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক মিম ও ট্রোলের জন্ম দেয়, যার ফলে গানটির সেই চরণ দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।

গানের কথাগুলো প্রেমের ব্যথা, আগুনের মতো পোড়া অনুভূতি ও নিঃশব্দ বেদনার এক গভীর আভাস দেয়। এম এ আলম শুভ এই প্রসঙ্গে বলেন,

“ভালোবাসার গভীরে যে নিঃশব্দ ব্যথা লুকানো থাকে, তা কখনো আগুনের মতো পোড়ায়। ‘দহন’ সেই পোড়ার কথা, সেই নিঃশব্দ কান্নার কথা।”

এম এ আলম শুভ ইতিমধ্যে দেশের অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার হিসেবে সুপরিচিত। তার লেখা আলোচিত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে:

“মনের মানুষ”

“তার দেখা না পেয়ে”

“চল পাখি হয়ে উড়ি”

“তোমার মায়ায়,

" ঘুম হয়ে যা”

তার গীতিকবিতা পাঠক ও শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় কারণ এতে রয়েছে সরল ভাষায় গভীর আবেগ, বাস্তবতার স্পর্শ ও মানবিক অনুভূতির মিশ্রণ। তিনি নতুন প্রজন্মের গীতিকবিদদের মধ্যে এক বিশেষ নাম হয়ে উঠছেন।

সাংস্কৃতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এম এ আলম শুভয়ের লেখায় বর্তমান যুব সমাজের প্রেম, যন্ত্রণা ও আশা যেন স্পষ্ট ভাষায় প্রতিফলিত হয়। তার গানগুলো শুধু বিনোদন দেয় না, বরং ভাবনারও নতুন সুর উন্মোচন করে।

‘দহন’ গানটির এই বিশেষ অংশের জনপ্রিয়তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। অনেক যুবক-যুবতী নিজেদের অনুভূতির সঙ্গে গানটির কথা ও আবেগকে মিশিয়ে দিয়ে বিভিন্ন ভিডিও বানাচ্ছেন, যা গানের প্রসারকে বহুগুণ বাড়িয়েছে।

এম এ আলম শুভ জানান, তার লেখার লক্ষ্য শুধুমাত্র সুরেলা শব্দ তৈরি করা নয়, বরং মানুষের মনের জোরালো ও স্পর্শকাতর অনুভূতিকে ছোঁয়া। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি নতুন গানের ধারায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বর্তমানে এম এ আলম শুভ বিভিন্ন ধারার গানের জন্য কাজ করছেন এবং বাংলা গানের জগতে নিজের অবস্থান আরো শক্ত করতে চাইছেন। তিনি তরুণ ও গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে বাংলা সঙ্গীতের পরিধি বৃদ্ধি করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এভাবেই ‘ওরে মন, ওরে মন’ গানটির পেছনে থাকা গীতিকার এম এ আলম শুভ শুধু একটি লাইন দিয়ে নয়, বরং সারা জীবনের সঙ্গীতচর্চায় বাংলা গানের জগতে এক অনন্য আবেগের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর