বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ সন্জীদা খাতুনের মরদেহ গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়েছে।
দান প্রক্রিয়া শেষ হবার পর পরই তার দেহ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ কেটে রেখে দেয়া হয়। বাকীটুকু ফেলে দেয়া হয়।
সন্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পার্থ তানভীর জানান, বেলা ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি সন্জীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন।
এদিন সন্জীদা খাতুনের কোনো জানাজার নামাজ হয়নি। তার ধর্ম পালন নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে বির্তক চলছে। অনেকে বলছেন তিনি মুসলিম ছিলেন না। তিনি বৃক্ষধর্ম মেনে চলতেন।
গত মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে মারা যান সন্জীদা খাতুন। সে দিন রাতে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে তার কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে। সেখানে কপালে লাল টিপ দিয়ে ও রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে তাকে বিদায় জানানো হয়। ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে গান শোনান।
এরপর বেলাআড়াইটার দিকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাকে শেষবিদায় জানান শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সন্জীদা খাতুনের মরদেহ আবারও হিমঘরে রাখা হয়।
সূত্র: যায় যায় দিন
মন্তব্য করুন: