বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব আবদুল হামিদ খান ভাসানী। জীবনের পুরোটা সময় অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত এবং মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন তিনি। ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত তিনি। এবার তাঁর জীবনী দেখা যাবে রুপালি পর্দায়। মওলানা ভাসানীর জীবনী অবলম্বনে ‘ভাসানী’ নামের সিনেমা বানাচ
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব আবদুল হামিদ খান ভাসানী। জীবনের পুরোটা সময় অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত এবং মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন তিনি। ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত তিনি। এবার তাঁর জীবনী দেখা যাবে রুপালি পর্দায়। মওলানা ভাসানীর জীবনী অবলম্বনে ‘ভাসানী’ নামের সিনেমা বানাচ্ছেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। আগামী বছরের মাঝামাঝি শুরু হবে শুটিং। এখন চলছে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ।
সৈয়দ অহিদুজ্জামান বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে সারা জীবন মওলানা ভাসানী রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ছিলেন। সিনেমার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের সামনে মওলানা ভাসানী সাহেবকে তুলে ধরতেই সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মওলানা ভাসানীকে নিয়ে এখন সিনেমা নির্মাণের কাজ শুরু করলেও দেড় যুগের বেশি সময় ধরে সিনেমাটি বানানোর স্বপ্ন দেখছেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান। ২০০৬ সালে মুক্তি পায় নির্মাতার প্রথম সিনেমা ‘নাচোলের রানী’। এতে তুলে ধরেছিলেন সংগ্রামী নারী, কৃষকনেতা ও বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি ইলা মিত্রের গল্প। সে সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় নিজের মধ্যে রেখেছিলেন স্বপ্নটা। কাউকে না জানিয়ে নিজেই মওলানা ভাসানীকে নিয়ে করে গেছেন গবেষণা।
কেন এই সময়ে ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত—এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর জীবনের ব্যাপ্তি অনেক গভীর। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে আছেন প্রত্যক্ষভাবে। তাঁকে নিয়ে সিনেমা বানাতে অনেক গবেষণার প্রয়োজন। এ ছাড়া ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা বানানোর এখনই মোক্ষম সময়। এত দিন রাজনৈতিক বেড়াজালে আটকে রাখা হয়েছিল তাঁকে। শঙ্কায় ছিলাম, তাঁকে নিয়ে সিনেমা বানালে আদৌ সেটি মুক্তি দিতে পারব কি না। কারণ, ইতিহাস বলতে গেলে সত্যটাই তুলে ধরতে হবে। সেই সত্যটা মেনে নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে ভয়ে ছিলাম। এখন সেই শঙ্কা নেই। মওলানা ভাসানীকে আটকে রাখার শক্তি এখন নেই।’
নির্মাতা জানান, মওলানা ভাসানীর ১৩ বছর বয়স থেকে শুরু হবে সিনেমার কাহিনি। এতে ভাসানী চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনজন অভিনেতা। ভাসানীর চরিত্রে এখনো কাউকে চূড়ান্ত করেননি নির্মাতা, অডিশনের মাধ্যমে নিতে চান নতুন মুখ। অহিদুজ্জামান বলেন, ‘ভাসানী হিসেবে এমন কাউকে নির্বাচন করতে চাই, যাঁকে দেখে মনে হবে ভাসানীকেই দেখছি। পরিচিত মুখ নিলে সেটা হয়তো হবে না। তাই নতুন মুখ নিয়ে কাজ করতে চাই। শিগগির অডিশনের প্রক্রিয়া জানানো হবে।’
সিনেমার শুটিং শুরুর প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের দিকে একটি মিছিলের আয়োজন করেন মওলানা ভাসানী। তাই ১৬ মে শুটিং শুরুর প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমার শিল্পীদের নাম জানানো হবে।’
মন্তব্য করুন: