ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন আহমেদ, বীর প্রতীক, ই বেংগল গত ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৬ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ১৫ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বরকল জোনে ১৬ ই বেংগল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। ১৫ জুন ১৯৯১ তারিখে বরকল জোন সদর হতে ক্যাপ্টেন জসিম এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি টহল দল স্পীড ব
ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন আহমেদ, বীর প্রতীক, ই বেংগল গত ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৬ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ১৫ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বরকল জোনে ১৬ ই বেংগল ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। ১৫ জুন ১৯৯১ তারিখে বরকল জোন সদর হতে ক্যাপ্টেন জসিম এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি টহল দল স্পীড বোট যোগে রুট প্রোটেকশন পোষ্টে অবস্থান নেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। বোটটি নদীর পাড়ের পোষ্টের নিকট পৌঁছালে তারা বোট থেকে অবতরণ করে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথেই সন্ত্রাসীরা তাদের উপর অতর্কিত ভাবে গুলি বর্ষন ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ক্যাপ্টেন জসিম অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার নিজস্ব এসএমজি দিয়ে সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে ফায়ার ব্যাক করতে থাকেন।
এক সময় সন্ত্রাসীদের গুলির আঘাতে তার দুই পা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হওয়ার পরও ক্যাপ্টেন জসিম মাটিতে শায়িত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের দিকে গুলি করতে থাকেন। তার ফায়ারের কাভারে টহলের অন্যান্য সেনাসদস্যগণ নিরাপদ স্থানে আঁড় নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।
প্রচন্ড গোলাগুলির মাঝে হঠাৎ সন্ত্রাসীদের একটি গুলি ক্যাপ্টেন জসিম এর কপালে আঘাত করে। ফলশ্রুতিতে তিনি ঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন। ক্যাপ্টেন জসিম মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিজের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। তার এই সাহসীকতা ও আত্মত্যাগ প্রতিটি সেনাসদস্যকে অনুপ্রানিত করে।
পরবর্তীতে ০৮ জুলাই ১৯৯২ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন আহমেদ'কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।
মন্তব্য করুন: