[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
১২ আষাঢ় ১৪৩২

হোতারা গ্রেপ্তার হলেও থামেনি মাদক কারবার!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৫ ১৭:০৬ পিএম

সংগৃহীত

রাজধানীতে মাদকের অন্যতম ‘হটস্পট’ মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এ সময় জব্দ করা হয় মাদক বিক্রির ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এই টাকা ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরের জি ব্লকের একটি ফার্মেসিতে রাখা ছিল।

সেখানকার শীর্ষ মাদক কারবারি ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল ওই টাকা রাখতে বাধ্য করেছিল বলে দাবি করেন ফার্মেসির মালিক। এই অভিযান থেকে ধারণা পাওয়া যায়, ক্যাম্পে কী পরিমাণ মাদক কেনাবেচা হয়। এ কারণেই বারবার অভিযান চালিয়ে একের পর এক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হলেও বন্ধ হয় না ক্যাম্পের মাদক কারবার।

বিগত এক দশকে দাপটের সঙ্গে ক্যাম্পে মাদক কারবার চালিয়ে আসা ভূঁইয়া সোহেল, চুয়া সেলিম ও সৈয়দপুরিয়া বাবুসহ ‘মাদক মাফিয়া’দের অনেককেই গত কয়েক মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে থেমে নেই মাদক কারবার। শুধু পুরোনোর বদলে এসেছে নতুন মুখ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ক্যাম্পের। 

এদিকে মামলার বোঝা মাথায় থাকলেও গ্রেপ্তারের কয়েক মাসের মধ্যে জামিন পেয়েছে ভূঁইয়া সোহেল ও চুয়া সেলিম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ‘চিহ্নিত’ হওয়ায় তারা এখন সামনে আসছে না। তবে ‘শান্তি গ্রুপ’ নামে একটি পুরোনো মাদক কারবারি চক্রকে নেপথ্যে থেকে পরিচালনা করছে। চক্রটি প্রায় দেড় দশক নিষ্ক্রিয় ছিল। এখন তারা সৈয়দপুরিয়া বাবুর অবর্তমানে তার স্থানটি দখল করেছে। তারা ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টর, সি-ব্লক, স্কুল গলি ও স্পোর্টিং ক্লাব এলাকায় মাদক কারবার চালাচ্ছে। এই চক্রে আছে পোপলা মুন্না, পিচ্চি ইমরান, বেজি নাদিম, রহমত, রসুল, আজম, সগীর, দাগী রুবেল ও সাঈদ। 

এ বিষয়ে ক্যাম্পের নন লোকাল রিলিফ কমিটির নবনিযুক্ত চেয়্যারম্যান মুরাদ কাদেরী সমকালকে বলেন, ক্যাম্পে কারা মাদক কারবার চালায়, তা প্রশাসন জানে। তবে দেখা যায়, অভিযান শুরুর আগেই মাদক কারবারের হোতারা খবর পেয়ে সটকে পড়ে। অভিযানে ধরা পড়ে ছোটখাটো বিক্রেতা আর নিরপরাধ মানুষ। ফলে কারবার বন্ধ হয় না। 

সরেজমিন জানা যায়, ভূঁইয়া সোহেল আড়ালে থাকলেও তার ভাই টুনটুন কারবারের হাল ধরেছে। তার নেতৃত্বে একটি দল ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরের আলফালাহ মডেল ক্লিনিক এলাকার হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে। সেই সঙ্গে মেলে । 

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সব মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হবে। 

সোর্স: সমকাল 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর