[email protected] শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন, অতঃপর...


প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১০ পিএম

প্রতারক চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার

সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন ফেসবুকে দিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রতারক চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির খিলগাঁও থানা পুলিশ। এ তথ্য মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে পাওয়া যায়।

 

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন -নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির (২৮), আনোয়ার ওরফে তন্ময় ওরফে আকতারুজ্জামান (২৬), রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা (৩৫), সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার (৩২), জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম (২০), লিজা (২৫) ও শাহানাজ আক্তার (২০)। 

ডিএমপি সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর ঢাকার নবাবগঞ্জের নাসির উদ্দীন ফেসবুকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে।

এ বিষয়ে ৬ অক্টোবর দুপুরে সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার নামের একজনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে। ওইদিন সন্ধ্যায় সীমার কথা মতো বাদী খিলগাঁও থানার টেম্পুস্ট্যান্ডের ১৩৬ দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার ও আনোয়ার ওরফে তন্ময়সহ আরো কয়েকজন ওই বাসায় আসেন। 

নাসির উদ্দীন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে বিবস্ত্র করে মারধর শুরু করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন।

ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার নিজেকে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে নাসিরের মায়ের কাছে মোবাইলের মাধ্যমে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বাদীর মা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে পাঁচ হাজার টাকা পাঠান। এরপর তারা ভিকটিম নাসিরের সঙ্গে থাকা দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নেয়।

ওইদিন রাত সাড়ে এগারটার দিকে আনোয়ার ওরফে তন্ময় ভিকটিমের চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের উপর ফেলে রেখে যান।

৯ অক্টোবর এ ঘটনায় মামলা হয় সংশ্লিষ্ট থানায়। এরপর ওইদিনই খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির, আনোয়ার ওরফে তন্ময় ওরফে আকতারুজ্জামান, রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা, সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার, জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম ও লিজা নামের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকালে খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহানাজ আক্তার নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেজে বা প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার মতো বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে প্রলুদ্ধ করেন।

লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে কেউ ফাঁদে পা দিলে তাকে জিম্মি করে অর্থ ও মূল্যবান দ্রব্যাদি হাতিয়ে নেন।

গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসিরের নামে হত্যা চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। 

 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর