ajbarta24@gmail.com শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু লাইফসাপোর্টে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৫ ১২:০৩ পিএম

গ্রাফিক্স

মাগুরায় বোনের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুকে লাইফসাপোর্টে নেয়া হযেছে বলে জানিয়েছেন শিশুর স্বজনরা। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ওই শিশুকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিশুর মামা ইউসুফ শেখ। তিনি বলেন, রাত ৯টার দিকে চিকিৎসকরা ডেকে নিয়ে বলে শিশুটির অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হবে, রাজি থাকলে একটি কাগজে সাক্ষর দিতে বলে। পরে আমরা রাজি হই।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই শিশুকে। বুধবার (৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে মাগুরা সদর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে এই ঘটনার শিকার হয়।

শুক্রবার দুপুরে শিশুর ফুফাতো ভাই সুজন বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন, এখনো জ্ঞান নেই শিশুটির।

তিনি আরও জানান, শিশুটির বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার জারিয়া গ্রামে। বড় বোনের শ্বশুর বাড়ি মাগুরা সদর নিজনান্দুয়ালি গ্রামে। গত শনিবার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে যায় শিশুটি। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শিশুটির বোন জামাই সজিব হোসেন (১৮) ও তার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২) শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বড় বোন টের পেয়ে গেলে তাকে আলাদা রুমে আটকিয়ে রাখে। সকালে বড় বোনের শাশুরি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং প্রতিবেশীরা তাদের ফোন করে জানায় বিষয়টি। এর মধ্যে পুলিশ সজিব ও তার বাবা হিটু শেখকে আটক করে।

তিনি বলেন, শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থা ভালো না। এখন পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় আছে। তার গলায় আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার গলা টিপে ধরা হয়েছিল। বর্তমানে শিশুটি ঢামেক হাসপাতালের পিআইসিইউতে ভর্তি আছে।

ওয়ার্ডের সামনে গিয়ে দেখা যায়, শিশুর মা প্রায় বেহুশ অবস্থা। বড় বোনও ঢাকায় চলে এসেছেন। তবে এক আত্মীয়ের বাসায় আছে। মা বার বার বলছে, আমার মেয়ের কী হবে? আমার মেয়েকে মেরে ফেলছে ওরা। আমি ওদের ফাঁসি চাই।

সোর্স: চ্যানেল 24

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর