মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, তিনি নারী হওয়ায় রায়ে কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হবে না। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম বলেন, রায় সম্পূর্ণভাবে অপরাধের তীব্রতা ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে।
তিনি নিশ্চিত করেন, সোমবার রায়টি বিটিভি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে, যাতে জনগণ স্বচ্ছতা সম্পর্কে অবহিত থাকতে পারেন।
প্রসিকিউটর তামিম জানান, সাধারণ আইনে জামিনের ক্ষেত্রে নারী, অসুস্থ ও কিশোরদের সুবিধা থাকলেও রায়ের ক্ষেত্রে কোনো আলাদা সুবিধা নেই। ট্রাইব্যুনাল আইনে আসামির লিঙ্গভেদে শাস্তি কম–বেশি হওয়ার বিধানও নেই। তিনি বলেন, যদি প্রমাণ না থাকে, তবে খালাস; আর যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে শাস্তি অপরাধের মাত্রা অনুযায়ীই নির্ধারিত হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেল রায় ঘোষণা করবেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন। মামলায় সহ–আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হাসিনা ও কামাল পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার চলছে।
মন্তব্য করুন: