ঘুমকে আমরা বিশ্রামের সময় বলে জানি, কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ঘুমের সময়ই মস্তিষ্ক নিজেকে পরিষ্কার করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ঘুমের সময় ‘গ্লিমফ্যাটিক সিস্টেম’ নামের একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত বর্জ্য পরিষ্কার হয়।
এই বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে অ্যালজাইমারস ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যামিলয়েড-বিটা ও টাউ প্রোটিন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ঘুমের সময় মস্তিষ্কে ‘নরএপিনেফ্রিন’ নামের এক নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসৃত হয়, যা ক্ষণিকের জাগরণ সৃষ্টি করে এবং রক্তনালী সংকুচিত করে। এতে রক্তপ্রবাহ সাময়িকভাবে কমে গিয়ে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল প্রবাহের সুযোগ তৈরি হয়। পরে রক্তনালী প্রসারিত হয়ে মস্তিষ্ক থেকে বর্জ্য ঠেলে বাইরে পাঠায়। এভাবে প্রতি ৫০ সেকেন্ডে একবার সংকোচন ও প্রসারণ ঘটে, যা এক ধরনের পাম্পের মতো কাজ করে।
গবেষণায় ইঁদুরের মস্তিষ্কে এই প্রক্রিয়া দেখা গেলেও, বিজ্ঞানীরা বলছেন মানুষের ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ করতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো প্রচলিত ঘুমের ওষুধ এই প্রাকৃতিক পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে ঘুমের সমস্যা হলে হুট করে ওষুধ না নিয়ে বিকল্প পন্থা খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, গভীর ঘুম মানেই শুধু বিশ্রাম নয় এটি মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন: