বিপর্যয়ে পড়া দলের হাল-ই শুধু ধরেননি, দুজন মিলে আশা দেখাচ্ছেন লড়াইয়েরও। জাকের আলী অনিকের পর ফিফটি তুলে নিলেন তাওহীদ হৃদয়ও। তাতে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
দুবাইতে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৬.২ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে লাল সবুজদের সংগ্রহ ১৪০ রান। জাকের ও হৃদয় ফিফটি করে অপরাজিত রয়েছেন।দলের খাতায় ৩৫ রান যোগ হতে না হতেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে শঙ্কা তৈরি হয়েছির একশ’র আগেই অলআউট হওয়ার। তবে হাল ধরলেন জাকের ও হৃদয়। দুজনে যদিও দুটি জীবন পেয়েছেন, তবে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে দুবাইয়ের ক্রিজে করে যাচ্ছেন সংগ্রাম।
এর আগে এদিন শুরুতেই দলকে চাপে ফেলেছিলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংস শুরুর প্রথম ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। পরের ওভারে হার্শিত রানাকে মারতে গিয়ে শর্ট কাভারে কোহলিকে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। ২ বল খেলে তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
দলের খাতায় ২ রান যোগ হতে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরতে ক্রিজে নামেন সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু শামির করা সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে শুভমান গিলকে ক্যাচ দেন মিরাজ। ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি।
তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ভরসা হয়ে ছিলেন ওপেনার তানজিদ তামিম। একপ্রান্ত আগলে রেখে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের রানের খাতা সচল রাখছিলেন তিনি।
কিন্তু ভারতের স্পিন আক্রমণের শুরুটাই সামলাতে পারলেন না তিনি। অক্ষর প্যাটেলকে প্রথম বলে ডিফেন্স করার পরের বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। ২৫ বলে ৪ চারের মারে ২৫ রানে থামেন তিনি। দলের খাতায় তখন ৩৫ রান, নেই ৪ উইকেট। ক্রিজে নেমে দলের হাল ধরবেন অভিজ্ঞ মুশফিক। কিন্তু প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড তিনিও। স্লিপে রোহিত শর্মা ক্যাচ না ছাড়লে জাকের আলীকে আউট করে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করে নিতে পারতেন অক্ষর।
আপাতত দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে ভারতের বোলারদের সামলাচ্ছেন জাকের ও হৃদয়।
এদিন বাংলাদেশের একাদশে সুযোগ পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাহিদ রানা। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য ইনজুরির কারণে দলে নেই। টস করার সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক শান্ত।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), জাকের আলী, মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ড্য, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা এবং মোহাম্মদ শামি।
সোর্স: সময়
মন্তব্য করুন: