টেস্ট সিরিজে সমতা, ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ হলো হোয়াইটওয়াশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে যে স্বাগতিকদেরই হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ, সেটা সিরিজ শুরুর আগে কজনই-বা ভাবতে পেরেছিলেন!
টি-টুয়েন্টিতে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্যারীবিয়দের ধবল ধোলাই করার সেই অভাবনীয় কাজটাই বাংলাদেশ করে দেখিয়েছে। ব্যাটিংয়ে, তার চেয়েও বেশি করে বোলিংয়ে সিরিজজুড়ে দাপট দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পর্যদুস্ত করেছে তাদেরই মাটিতে। বাংলাদেশের এই দলকে দেখে মুগ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই কিংবদন্তি ইয়ান বিশপ। বাংলাদেশের প্রতি তাঁর অনুরোধ, তরুণ প্রতিভাদের গড়ে তোলার এই সুযোগ যাতে বাংলাদেশ না হারায়।
তাসকিন-হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানাদের পেস অ্যাটাক তো বছর দু-তিনেক ধরেই বাংলাদেশের বড় শক্তি। এই সিরিজেও পেস আক্রমণই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংকে কোনো ম্যাচে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন পাটওয়ারিদের ব্যাটে আগ্রাসনও দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সৌম্য-তাসকিন-লিটনদের পাশাপাশি এই তরুণদের উত্থান দেখেই মুগ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার ও বর্তমান সময়ের সেরা ধারাভাষ্যকারদের একজন বিশপ।
এমনিতেই বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে সব দলের ক্রিকেটারদের নিয়েই বিস্তর গবেষণা করা ও ধারাভাষ্যে খেলোয়াড়দের খুঁটিনাটি তুলে আনার জন্য বিখ্যাত বিশপ। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উন্নতির পেছনের গল্পটাও তাঁর জানা। সেই জ্ঞান আর এই সিরিজে উন্নতির ছাপ চোখের সামনে দেখার পর বিশপের উপলব্ধি, বাংলাদেশের হাতে আরও বড় হয়ে ওঠার রসদ আছে।
এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ, তোমাদের হাতে এই তরুণ খেলোয়াড়দের অসাধারণ গ্রুপটাকে তুলে আনা ও গড়ে তোলার দারুণ একটা সুযোগ আছে। এদের ব্যাটিংয়ে জোর আছে, ফাস্ট বোলিংটাও প্রতিদিনই উন্নতি করছে। এই সুযোগটা হারাতে দিও না।’ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে লিখেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২৫ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে।’
মন্তব্য করুন: