ajbarta24@gmail.com শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

শবে বরাতে যেসব কাজ করা বিদ’আতের শামিল

মাইশা মমতাজ

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০২ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৩:২৯ পিএম

গ্রাফিক্স

শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। শবে বরাত কথাটি ফারসি থেকে এসেছে। শবে বরাতের আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারাআত’। আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ শব্দ দুটির অর্থ হলো- মুক্তির রাত। হাদিসের পরিভাষায় এ রাতটি ব্যবহৃত হয়- ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রাত। শাবান মাসজুড়ে রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিস শরিফে এ ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি নবী করিম (সা.)-কে শাবান মাসের মতো এত অধিক (নফল) রোজা আর অন্য কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। এ মাসের অল্প কয়েক দিন ছাড়া বলতে গেলে সারা মাসই তিনি রোজা রাখতেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৩৭)। এছাড়াও ‘আইয়ামে বিজ’ বা প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারেও হাদিস শরিফে উৎসাহিত করা হয়েছে। এটা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। তাই লাইলাতুল বারআতে রোজা রাখাও সুন্নতের সামিল। তবে কুরআনের কোথাও এই দিনটিকে উপলক্ষ করে বিশেষ কোনও আমলের কথা উল্লেখ নেই। কেউ ইচ্ছা করলে নফল ইবাদাত করতে পারে। তাতে কোনও গুণাহ হবেনা। তবে মনে রাখতে হবে, ইসলামে এ রাতে ইবাদতের জন্য বিশেষ কোনো নিয়মনীতি নেই।

শবে বরাতে বর্জনীয় কিছু কাজ:

  • এই রাত উপলক্ষে পরিবারের জন্য হালুয়া-রুটির আয়োজন ।
  • ‘লাইলাতুল বারাআত’-এ আনন্দ বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে ফটকা ও আতশবাজী ফোটানো।
  • ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’-এ গোনাহ মাফের নিয়তে সন্ধ্যা রাতে গোসল করা।
  • ঘরে, আঙিনায়, কবরে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালানো ও গোলাপজল ছিটানো।
  • বাড়ি ঘর আলোকসজ্জা, কবরস্থানে আলোকসজ্জা করা।

কারণ শবে বরাতের নামে ইসলামে এ সব মারাত্মক সীমালঙ্ঘন। তা কোনোভাবে বৈধ নয়। তাছাড়া আমাদের নবীগণ গুলোর কোনোটাই করতেন না। সুতরাং আমাদের এভাবে শবে বরাত পালন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর