বিএনপির নেতাকর্মীতো দুরের কথা, একজন মৌন জাতীয়তাবাদী সমর্থকও বেহায়া হাসান মাহমুদের এই কথা শুনে নতুন করে ক্ষোভের আগুন জ্বালাতে থাকবে। থাকুক। এটাই দরকার আছে। দুইমাসে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা আর ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গুত্ব উপহার দিয়ে যে বেলজিয়ামে বসে এরকম কথা বলতে পারে, তার জন্য ছাত্রজনতা ক্ষোভ দেখালে তাদের কিভাবে দোষ দেয়া যায়, তা বোধগোম্য নয়।
৫ আগস্ট, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। গণঅভ্যুত্থান তো বটেই, এটাকে অনেকে গণবিদ্রোহ বলছেন। অভ্যুত্থানে আক্রোশ কম থাকে। অনেকটা নিরব প্রতিবাদের মতো সবাই রাস্তায় নেমে আসে বা সেলিব্রেট করে। ৫ ই আগস্টের চিত্র ছিল ভিন্ন। এদিন জনতার মুখে দেখা গেছে তীব্র আক্রোশ ও ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ। ১৬ বছরের নির্যাতন, নিপীড়নকে মানুষ ধারণ করে আওয়ামীলীগ নামধারী ‘শেখ মাফিয়া তন্ত্র’ কে অগ্নিধৌত করেছে। ‘শেখ মাফিয়া তন্ত্র’ এর হালুয়া যারাই খেয়েছে, সবাই এই ক্ষোভের অঙ্গারে ভষ্মীভুত হয়েছে। যেকোন দুর্ঘটনার কিছু স্বয়ংক্রিয় প্রভাব থাকে। এটাকে ইংলিশে বলা হয় কোল্যাটারাল ড্যামেজ (Collateral Damage)। যেমন, এলাকার মশা নিধনে যখন স্প্রে করা হয় তখন মশার পাশাপাশি অন্যান্য অক্ষতিকারক প্রাণীও ধরাশায়ী হয়। ওইযে একটা প্রবাদ আছেনা? 'নগরে আগুন লাগলে দেবালয় এড়ায় না'। ঠিক ওরকম।
৫ আগস্টের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে এরকম অনেক কিছুই। ১৬ বছরের পুলিশি নির্যাতনকে ক্ষোভে রূপ দিয়ে মানুষ আক্রোশ ঢেলেছে থানায়। পুলিশ নামক কিছু সন্ত্রাসী মারা পরলেও এর মধ্যে এমন অনেক পুলিশ রয়েছের যারা ছিল নির্দোষ। যদিও যেকোন ধরণের বিচার বহির্ভূত জীবনহানী কখনও কাম্য নয়। তবে ‘মব’ কে কখনও কনট্রোল যায়না। আর সেই ‘মব’ যদি হয় কয়েক কোটি সেখানে তো সেনাবহিনীও নিরুপায়। যা হবার তাই হয়েছে, আওয়ামী মাফিয়া তন্ত্র তথা শেখ পরিবারের পাপের খেসারত দিতে হয়ে অনেক নিরাপরাধ মানুষকে। এর সব দায়ভার শুধুমাত্র মাফিয়া গোষ্ঠী শেখ পরিবারের এবং ষ্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার।
সম্প্রতি আওয়ামী মাফিয়া গোষ্ঠীর অন্যতম পরিকল্পনাকারী, ছাত্রজনতা হত্যার কারিগর, জ্ঞানপাপী, ধুরন্দর, দুর্নীতিবাজ, বিশ্ববেহায়া ও কাপুরুষ হাসান মাহমুদ তার বেলিজিয়ামের বাড়িতে বসে লন্ডন ভিত্তিক টিভি চ্যানেল এস কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছে। তার কথা শুনে মনে হয়েছে, নির্লজ্জতার একটি বাস্তব উদাহরণ হতে পারে সে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে সে বিএনপির সাথে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেছে। অথচ গত ১৬ বছরে তার গণতন্ত্র ধ্বংস করে ৫ আগস্ট এর পরের কোন একসময় দেশ থেকে কাপুরুষের মত পালিয়েছে। অনিরাপদ রেখে গেছে তাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীকে। তাদের মাফিয়া তন্ত্রের খেসারত দিচ্ছে অনেক নিরীহ আওয়ামী সমর্থক।
বিএনপির নেতাকর্মীতো দুরের কথা, একজন মৌন জাতীয়তাবাদী সমর্থকও বেহায়া হাসান মাহমুদের এই কথা শুনে নতুন করে ক্ষোভের আগুন জ্বালাতে থাকবে। থাকুক। এটাই দরকার আছে। দুইমাসে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা আর ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গুত্ব উপহার দিয়ে যে বেলজিয়ামে বসে এরকম কথা বলতে পারে, তার জন্য ছাত্রজনতা ক্ষোভ দেখালে তাদের কিভাবে দোষ দেয়া যায়, তা বোধগোম্য নয়।
মন্তব্য করুন: