[email protected] মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইনস্টাগ্রামে সহিংস কনটেন্টের জন্য মেটার দুঃখ প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০২ পিএম

ফাইল ছবি

ইনস্টাগ্রামের রিলস পেজে সহিংস ও গ্রাফিক বা অনাকাঙ্ক্ষিত কনটেন্টের সম্মুখীন হয়েছেন বেশ কিছু ব্যবহারকারী। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মেটা জানিয়েছে, ত্রুটিটি চিহ্নিত করে তা প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে মেটার মুখপাত্র জানান, ‘আমরা একটি ত্রুটি মেরামত করেছি, যার কারণে কিছু ব্যবহারকারী তাঁদের ইনস্টাগ্রাম রিলস ফিডে এমন কনটেন্ট দেখতে পেয়েছেন, যা তাঁদের জন্য সুপারিশ করা উচিত ছিল না। আমরা এ ভুলের জন্য দুঃখিত।’

বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করায় এই বিবৃতি দেয় মেটা। সহিংস ও ‘অসুন্দর’ কনটেন্টের সুপারিশ সম্পর্কে অভিযোগ করেন তাঁরা।

কিছু ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, ইনস্টাগ্রামে মডারেশন সেটিংস সক্রিয় থাকার পরও তাঁরা এসব কনটেন্ট দেখেছেন।

মেটার নীতি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীদের বিরক্তিকর কনটেন্ট থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে এবং সহিংস বা গ্রাফিক কনটেন্ট সরিয়ে দেয়।

তবে মেটা বলছে, যেসব কনটেন্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন, সশস্ত্র সংঘাত বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে, সেগুলো দেখানোর অনুমোদন দেয় কোম্পানিটি। তবে এমন কনটেন্টে সতর্কীকরণ লেবেল থাকতে পারে।

মেটা জানায়, তাদের প্রযুক্তি ও ১৫ হাজার কর্মীর একটি টিম সহিংস কনটেন্ট শনাক্তে সাহায্য করে। এসব প্রযুক্তির মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং রয়েছে।

এদিকে মেটা তার প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট সুপারিশের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। এই পদ্ধতি ভুল ও সহিংস কনটেন্টের প্রবাহ কমাতে সাহায্য করত। মেটা জানায়, তারা তাদের স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমটি আপডেট করেছে, যাতে শুধু ‘সব নীতিগত লঙ্ঘন’ স্ক্যান করার পরিবর্তে ‘অবৈধ ও উচ্চমাত্রার লঙ্ঘন’ যেমন সন্ত্রাস, শিশু যৌন নির্যাতন, মাদক, জালিয়াতি ও প্রতারণা শনাক্ত করা যায়। কম গুরুতর বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করা হবে।

এ প্রসঙ্গে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা করেছেন, তারা আরও রাজনৈতিক কনটেন্ট অনুমোদন করবে এবং ইলন মাস্কের এক্সের মতো তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামটি ‘কমিউনিটি নোটস’ মডেলে পরিবর্তন করবে।

এই পদক্ষেপগুলো মূলত জাকারবার্গের কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাচ্ছেন জাকারবার্গ।

ট্রাম্প এর আগে মেটার মনিটরিং নীতির সমালোচনা করেছেন।

মেটার এক মুখপাত্র জানান, গত মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে হোয়াইট হাউসে যান জাকারবার্গ। মেটা কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির নেতৃত্বকে বিশ্বব্যাপী রক্ষা ও এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়ে সেখানে আলোচনা করেন তিনি।

২০২২ ও ২০২৩ সালে প্রযুক্তি কোম্পানির ব্যাপক ছাঁটাইয়ের অংশ হিসেবে ২১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে মেটা। এসব ছাঁটাইয়ের ঘটনা তার সিভিক ইনটিগ্রিটি ও ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি টিমগুলোকে প্রভাবিত করেছে।

সোর্স: আজকের পত্রিকা




মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর