প্রকাশিত:
০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:১১ পিএম
ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কালমেইগি, যা স্থানীয়ভাবে টিনো নামে পরিচিত, এতে কমপক্ষে ৬৬ জন নিহত এবং কয়েক শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবু দ্বীপ, যেখানে ৪৯ জন মারা গেছেন এবং কমপক্ষে ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এক সামরিক হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়ে ৬ জন ক্রু নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারটি মিন্
ঘূর্ণিঝড় মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হলেও এর বাতাসের গতি ছিল ৮০ মাইল প্রতি ঘণ্টা। এটি ভিসায়াস দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে এগোচ্ছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন, গাড়ি ও কনটেইনার স্রোতের সঙ্গে ভেসে গেছে। সেবুর গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো বলেছেন, পানি হলো প্রধান বিপদ এবং বৃষ্টি ও বন্যা মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। সেবুতে ৪ লাখের বেশি মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছেন। ছোট ছোট বাড়ি ভেসে গেছে এবং মাটি-বালি ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নৌকায় মানুষকে বাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরাচ্ছেন।
ফিলিপাইন প্রতি বছর প্রায় ২০টির মতো ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ের মুখোমুখি হয়। মাত্র এক মাস আগে সুপার টাইফুন রাগাসা (নান্ডো) এবং টাইফুন বুয়ালই (ওপং) ভয়াবহ ক্ষতি করেছিল। এছাড়া সেপ্টেম্বরের শেষে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প কেন্দ্রীয় ফিলিপাইনস কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এই সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় কালমেইগির আঘাত স্থানীয় মানুষদের জীবনে ব্যাপক ক্ষতি এবং অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে, এবং ফিলিপাইন সরকার সেবুতে জরুরি দুর্যোগ অবস্থা ঘোষণা করেছে, যাতে সহায়তা কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা যায়।
মন্তব্য করুন: