[email protected] বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
২০ কার্তিক ১৪৩২

এবার ভারতের দাদাগিরি বন্ধ হবার পথে, এবার কি করবে মোদি?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:১১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা আধুনিকায়নের ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চীনের এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংগ্রহ করছে। এই অর্জন দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় মধ্যম থেকে দূরপাল্লার নিখুঁত আঘাত ক্ষমতা যোগ করবে এবং ঢাকার আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কৌশলে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

এসওয়াই-৪০০ সিস্টেমটি x TEL লঞ্চারে আটটি ৪০০ মিমি রকেট বা দুইটি স্বল্প/মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে; আধুনিক সংস্করণে পাল্লা ~২৮০৪০০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা থাকে। সিস্টেমে সক্রিয় নিষ্ক্রিয় রাডার, আইআইআর জিপিএস/উপগ্রহ ভিত্তিক হাইব্রিড গাইডেন্স থাকায় নির্ভুলতা উন্নত। দ্রুত চলমান লঞ্চ-এন্ড-রেলোকেশন ক্ষমতা পাল্টা আঘাত এড়াতে সাহায্য করে। অপারেশনালভাবে এটি লজিস্টিক হাব, বিমানঘাঁটি, কমান্ড পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার সুযোগ দেয়বাংলাদেশের আগে এমন দূরঘাতক সক্ষমতা সীমিত ছিল।

তবে সফল ব্যবহার শুধু ক্ষেপণাস্ত্র হার্ডওয়্যারের উপর নির্ভর করে না; সেটি রাডার নেটওয়ার্ক, স্যান্সর, স্যাটেলাইট-নেভিগেশন, ইন্টেলিজেন্স, নিরাপদ কমান্ড নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণসহ সমন্বিত অবকাঠামো প্রয়োজন। চীনা সহযোগিতা রক্ষণাবেক্ষণ সরবরাহ দেবে বলেই ধারণা, যা দীর্ঘমেয়াদে নির্ভরশীলতার প্রশ্ন তুলতে পারে।

কূটনৈতিক আঞ্চলিক দিক থেকেও এর প্রভাব বড়ভারত, মার্কিন অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদাররা এই অর্জন নজরে রাখবে; এটি দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে নতুন জটিলতা যোগ করবে। ঢাকা নিশ্চিত করেছে পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে, কিন্তু প্রযুক্তিগত কৌশলগত প্রস্তুতি যতো দ্রুত না করা হবে ততদিন পূর্ণ কার্যকারিতা সীমিত থাকবে।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর