[email protected] মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
২০ কার্তিক ১৪৩২

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পালিত হলো বিশ্ব স্ট্রোক দিবস

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ২২:১১ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১০:১১ পিএম

বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালিত হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

এভরি টাইমস কাউন্ট এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চত্বরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও ট্রেনিং কমপ্লেক্স গ্যালারীতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডা. সুজন শরীফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আসাদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে স্ট্রোক বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন ঢামেক হাসপাতালের এন্ডোভাসকুলার ও স্ট্রোক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহেদুর রহমান শিকদার। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে ৮৯ শতাংশ স্ট্রোক ঘটে। যেখানে প্রতি মিনিটে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ (নিউরন) মারা যায়। তাই স্ট্রোকের রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো সময়। সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া গেলে রোগীকে পুরোপুরি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আনা গেলে জীবন সুরক্ষা দেয়া সম্ভব। পরবর্তীতে থেরাপির মাধ্যমে এসব রোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো যায় বলেও জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, 'প্রতি চার জনে একজনের স্ট্রোক হয়, তবে এই স্ট্রোক নব্বই ভাগই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এতে করে আমাদের আর চিকিৎসা পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজনই হল না'। তিনি আরো বলেন, 'সারাদেশে স্ট্রোক সেন্টার হওয়া প্রয়োজন, এবং মানুষের ঘনত্বের উপ ভিত্তি করে সারা দেশ কে স্ট্রোক সেন্টারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্ট্রোক এর জন্য সচেতনতার জন্য সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. আসাদুজ্জামান মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এখন রোগীরা বুঝতে পারে না তাদের স্ট্রোক হয়েছে কিনা, এই সচেতনতা মানুষের মাঝে তৈরি করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক রোগের ক্ষেত্রে টাকা বা ভালো চিকিৎসা নিয়ে হয়তো সুস্থ হওয়া সম্ভব কিন্তু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা না নিলে হয়তো মৃত্যু হতে পারে বা বরণ করে নিতে হবে পঙ্গুত্বের জীবন। সে জন্য সচেতনতা ও প্রতিরোধ এই রোগের সবচেয়ে বড় সমাধান।

বক্তারা আরো বলেন, 'তবে আশার কথা হলো, এসব রোগীদের চিকিৎসা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে দেশেই হচ্ছে। স্ট্রোক ইউনিট ছাড়া স্ট্রোকের সফল ও কার্যকর চিকিৎসা শতভাগ সম্ভব হয় না, এ কারণে আরও স্ট্রোক ইউনিট প্রতিষ্ঠার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'

পরিশেষে বক্তাগন স্বাস্থ্য সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানের মধ্য দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরসার্জন বিভাগের উক্ত অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর