গাজায় ইসরাইলের সামিরক অভিযান শুরুর পর থেকে কানাডায় ইসলাম বিদ্বেষ বেড়েছে। সেইসঙ্গে উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে ‘হেইট ক্রাইম’ বা ঘৃণাজনিত অপরাধের সংখ্যা।
৭ অগাস্ট ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামোফোবিয়া রিসার্চ হাবের নাদিয়া হাসানের প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। এতে গত ২১ মাসে ইসলাম বিদ্বেষ, ফিলিস্তিন-বিরোধী বর্ণবাদ এবং আরব-বিরোধী বর্ণবাদ তীব্র ও বিপজ্জনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান শুরুর পর কানাডাজুড়ে ইসলাম বিদ্বেষ এবং ফিলিস্তিন বিরোধী ‘হেইট ক্রাইম’ ১,৮০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। যা কানাডার জনসাধারণের জীবন ও কর্মক্ষেত্রে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।’
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মুসলিম-বিরোধী ঘৃণামূলক অপরাধের সংখ্যা ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আরব ও পশ্চিম এশীয়দের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে ৫২ শতাংশ।
মুসলিম লিগ্যাল সাপোর্ট সেন্টার ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মার্চ ২০২৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ৪৭৪টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে। যার মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের কারণে চাকরি হারিয়েছেন বা ছুটিতে পাঠানো হয়েছে ৩৪৫ জনকে। লিগ্যাল সেন্টার ফর প্যালেস্টাইন জানিয়েছে, আট মাসে ফিলিস্তিন বিরোধী বর্ণবাদের মামলা ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনি-বিরোধী বর্ণবাদের একটি সংজ্ঞা প্রণয়ন, হেইট ক্রাইমের জন্য উপযুক্ত জবাবদিহিতা এবং স্কুল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।
সোর্স: আমার দেশ
মন্তব্য করুন: