ইরানে মোসাদের ৩ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

ইসরায়েলি ‘গুপ্তচর নেটওয়ার্কের’ সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানে সাত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৫ জুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

দেশটির সংবাদমাধ্যমের সূত্রের বরাতে আল জাজিরা বলেছে, ইরানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং নিরাপত্তা বাহিনী দেশটিতে ইসরায়েলের ‘গুপ্তচর নেটওয়ার্কের’ সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৭০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের ১২ দিনের সংঘাতের সময় গ্রেপ্তার করা হয় এসব সন্দেহভাজনদের।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ইরানের বিচার বিভাগের সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিনজনকে ফাঁসি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

"ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যাকাণ্ড পরিচালনার" পাশাপাশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম পাচারের চেষ্টা করার জন্যও তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— ইদ্রিস আলী, আজাদ শোজাই এবং রসুল আহমেদ।

প্রসঙ্গত, তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে এমন অভিযোগে ১৩ জুন থেকে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে টার্গেট করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও অন্তত ১৪ জন বিজ্ঞানী নিহত হন।

দীর্ঘদিন ধরে গুপ্তচরদের দিয়ে দেশটিতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তৎপরতা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় বড় ধরনের এই অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েল। এরপরই দেশব্যাপী গুপ্তচরদের ধরতে অভিযান শুরু করে ইরানের সেনা, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী।

সোর্স: চ্যানেল২৪