গত মঙ্গলবার সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হয়েছে। শনিবারও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যশোরে। এদিকে আগামী ২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সাগরে আবারও লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সেই লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না এবং কোথাও আঘাত হানবে কি না, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, যেই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দিয়ে থাকি। তবে এখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না সেটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। তবে একটা আশঙ্কা তো রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই সাপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে৷ বিশেষ করে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত আইডিতে লিখেছেন, ১৮ অক্টোবর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, লঘুচাপ থেকে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সম্ভাবনা রয়েছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার। সম্ভাবনা খুবই বেশি অক্টোবর মাসের ২২ তারিখ থেকে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার।

জানা গেছে, এবারের সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেওয়া নাম।