প্রকাশিত:
১২ অক্টোবর ২০২৪ ২২:১০ পিএম
পাঁচ দশকে পাঁচ হাজারের বেশি পাখি, স্তন্যপায়ী, উভচর, সরীসৃপ ও মাছের সংখ্যা পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে লিভিং প্ল্যানেট ইনডেক্সের এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জানা যায়, দূষণ, খনি ও নাগরিক অস্থিরতাসহ অন্যান্য হুমকির কারণে বিশ্বের ৬০ শতাংশ অ্যামাজন নদীর গোলাপি ডলফিন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে
বৈশ্বিক বন্যপ্রাণী পরিসংখ্যানের একটি পর্যবেক্ষণ অনুসারে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলের হাতি থেকে শুরু করে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের হকসবিল কচ্ছপ পর্যন্ত সব প্রজাতির প্রাণীর সংখ্যাই ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ‘দ্য লিভিং প্লানেট রিপোর্ট’ শীর্ষক বিস্তৃত পর্যালোচনায় উঠে আসে, গত ৫০ বছরে বিশ্বের বন্যপ্রাণীর সংখ্যা গড়ে ৭৩ শতাংশ হ্রাস পায়।
মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে ক্রমান্বয়ে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে ‘বিপর্যয়কর’ আখ্যা দিয়েছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ-বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ)।
ডব্লিউডব্লিউএফের যুক্তরাজ্য প্রধান তানিয়া স্টিল বলেন, বন্য আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে অনেক বাস্তুসংস্থান ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমাজন থেকে প্রবাল প্রাচীর পর্যন্ত অনেক আবাসস্থল ‘খুব বিপজ্জনক টিপিং পয়েন্টের দোরগোড়ায়’ রয়েছে। উল্লেখ্য, টিপিং পয়েন্ট হলো প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসলীলা পরিমাপের মানদণ্ড। এই মানদণ্ডের অর্থ হলো, ঘটে যাওয়া পরিবর্তনকে পূর্বাবস্থায় আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’
গত পাঁচ দশকে পাঁচ হাজারের বেশি পাখি, স্তন্যপায়ী, উভচর, সরীসৃপ ও মাছের সংখ্যা পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে লিভিং প্ল্যানেট ইনডেক্সের এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জানা যায়, দূষণ, খনি ও নাগরিক অস্থিরতাসহ অন্যান্য হুমকির কারণে বিশ্বের ৬০ শতাংশ অ্যামাজন নদীর গোলাপি ডলফিন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুশাস্ত্রের অধ্যাপক টম অলিভার বলেছেন, এই তথ্যগুলো যখন অন্যান্য প্রাণীর তথ্যের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়, ভয়ানক চিত্র উঠে আসে। যেমন ধরুন, পোকা-মাকড় কমে যাওয়ার হার। সবমিলিয়ে আমরা বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তির একটি শক্তিশালী ও উদ্বেগজনক ছবি খুঁজে পাচ্ছি। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আবাসস্থল কমে যাওয়া ও ক্ষতি বন্যজীবনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এরপরে একে একে অতিরিক্ত শোষণ, আক্রমণাত্মক প্রজাতি, রোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণ এর বিলুপ্তিতে প্রভাব ফেলে।
মন্তব্য করুন: