চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। চট্টগ্রাম কলেজের বিপরীত পাশে এটি অবস্থিত। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নতুন ভবন বরাদ্দ পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অবশেষে প্রায় দুই যুগ পর নতুন ছয় তলাবিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে এ ভবন। বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হবে একাডেমিক ভবনটি। গবেষণার
চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। চট্টগ্রাম কলেজের বিপরীত পাশে এটি অবস্থিত। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নতুন ভবন বরাদ্দ পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অবশেষে প্রায় দুই যুগ পর নতুন ছয় তলাবিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান শিক্ষা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছে এ ভবন। বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হবে একাডেমিক ভবনটি। গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য ভবনে থাকবে পাঁচটি ল্যাব। ১৮০ জনের একটি কনফারেন্স কক্ষ হবে। এছাড়া প্রতিটি তলায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষকদের জন্য কক্ষ থাকবে। গত মাসে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। সর্বশেষ ২০০১ সালের দিকে পুরনো ভবনের বর্ধিতাংশ করা হয়েছে কলেজটিতে। এর পরে আর নতুন করে কলেজটিতে কোনো ভবন নির্মাণ হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ভবনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। শ্রেণিকক্ষ সংকট ঘুচবে অনেকটা বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, ১৮৭৪ সালে দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসিনের মহসিন ফান্ডের অর্থায়নে চট্টগ্রাম সরকারি মাদ্রাসা হিসেবে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম মোহসিনীয়া মাদ্রাসাকে ‘চট্টগ্রাম ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ’ নামকরণ করে এর কার্যক্রম উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত উন্নীত করা হয় এবং পরে ১৯৭৯ সালের ২০ জুলাই চট্টগ্রাম ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজকে একত্রিত করে ‘হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ’ নামে নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কলেজটি হতে সম্পূর্ণরূপে আলাদা হয়ে যায় এবং কলেজের উত্তর দিকে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭৯–৮০ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি (পাস) কোর্স, ৯৬–৯৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্স, ৯৩–৯৪ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স প্রথম পর্ব এবং ৯৬–৯৭ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স শেষ পর্ব প্রবর্তন করা হয়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং ডিগ্রি, বিবিএস (পাস), বিএসসি (পাস) এর অধীনে প্রায় ১৬টি বিষয় এতে পড়ানো হয়। সবমিলিয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার। এসব শিক্ষার্থীর জন্য শ্রেণিকক্ষ দরকার অন্তত ৬৪টি। এর মধ্যে কলেজে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে ৩৬টি। শিক্ষক রয়েছে ৭৬ জন। দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীর তুলনায় পর্যাপ্ত ভবন নেই প্রতিষ্ঠানটিতে। রয়েছে শ্রেণিকক্ষ সংকট। কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে ব্যবসায় শিক্ষা ভবন এবং মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামের জন্য চাহিদা দিলেও সেটির জন্য কোনো ভবন বরাদ্দ হয়নি। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটিতে অডিটোরিয়াম না থাকায় কর্তৃপক্ষকে বড় কোনো সেমিনার বা কর্মশালা আয়োজন করতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। আন্তর্জাতিক মানের কোনো আয়োজনও করা যায় না অডিটোরিয়ামের জন্য।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী প্রকৌশলী বাবুল আহমেদ বলেন, হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছয়তলাবিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। এখনো ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। আমাদের টার্গেট রয়েছে আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা।
মন্তব্য করুন: