সীমান্ত বিরোধের জেরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এ সংঘর্ষে থাইল্যান্ডের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আহত হয়েছে আরো দুই থাই সেনা।
দেশ দু'টির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী বিরোধপূর্ণ এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়েছে।
প্রথমে হামলা শুরু করার জন্য দুই দেশের সামরিক বাহিনী একে অপরকে দোষারোপ করছে।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্তের বিতর্কিত অংশে কম্বোডিয়া প্রথমে ভারী অস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন করে এবং গোলাগুলি শুরু করে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আত্মরক্ষায় পাল্টা জবাব দিয়েছে তাদের সেনাবাহিনী।
সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে এখনো সংঘর্ষ চলছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে সীমান্ত বিরোধ চলছে।
চলমান উত্তেজনায় থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড থেকে তার কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করেছে এবং সকল থাই কূটনীতিককে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, থাইল্যান্ডের সশস্ত্র আক্রমণ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বিমান হামলাকে প্রতিবেশী দেশের সশস্ত্র আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এরআগে, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে কম্বোডিয়ায় বোমা হামলা চালায় থাইল্যান্ড।
কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, সীমান্তবর্তী ৮৬টি গ্রামের আনুমানিক ৪০ হাজার নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সোর্স: আমার দেশ
মন্তব্য করুন: