যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন রায় কিছুদিন আগে ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন, দেশটিতে অবস্থান করে পড়ালেখার বৈধতা হারিয়েছেন তিনি। তবে আশাহত না হয়ে রুখে দাঁড়ান অঞ্জন। বর্তমানে আদালতের রায়ে নিজের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। বুধবার এপির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার লড়াইয়ের গল্প।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ২০২৪ সালের আগস্টে পড়ালেখা শুরু করেন অঞ্জন। ২০২৬ সালের মে মাসে তার মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মাঝে বেধে যায় বিপত্তি। ১০ এপ্রিল ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে পড়াশোনা করার বৈধতা হারিয়েছেন তিনি। যে কোনো সময় তাকে গ্রেফতার বা দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
অঞ্জন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সেবা কার্যালয় থেকে জানানো হয়, আমার বৈধতা বাতিল করার কারণ তারা জানেন না। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও একটি ইমেইল পাই। যেখানে বলা হয়, আমার ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং যে কোনো সময় আমাকে আটক করা হতে পারে। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে মনস্থির করেন অঞ্জন। তার এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যান। ক্লাসে যাওয়া বন্ধ রাখেন। ইন্টারনেটও ব্যবহার করেননি। তিনি বলেন, শিক্ষকরা ক্লাসে না আসার বিষয়টি বুঝতে পারেন। অঞ্জন জানান, এ সপ্তাহে আদালতের রায়ে নিজের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন। ফিরেছেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে।
অঞ্জনের মতো অনেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে সাফল্যের মুখ দেখেছেন। দেশজুড়ে ফেডারেল বিচারকরা বিশেষ নির্দেশ দিয়ে আপাতত শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত করছেন।
অঞ্জন ও অন্যান্য বাদীদের পক্ষের আইনজীবী চার্লস কাক যুক্তি দেন, শিক্ষার্থীদের ভিসা বা বৈধতা বাতিলের কোনো এখতিয়ার সরকারের নেই। তিনি গত সপ্তাহে আদালতে দাবি করেন, সরকার ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে চাইছে।
সোর্স: যুগান্তর
মন্তব্য করুন: