ajbarta24@gmail.com বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২

মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৪ পিএম

ফাইল ছবি

বিশ্ব কূটনীতির মঞ্চে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও এক ধাপ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তিব্বত ইস্যুকে কেন্দ্র করে। তিব্বত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের “হস্তক্ষেপমূলক আচরণ”-এর প্রতিবাদস্বরূপ এবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বেইজিং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল—তিব্বতের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বিদেশি চাপ মেনে নেওয়া হবে না।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়, কিছু মার্কিন কর্মকর্তাকে আর চীনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কারণ, তারা তিব্বতের বিষয়ে “খারাপ আচরণ” করেছেন। এই পদক্ষেপটি এমন এক সময় নেওয়া হলো, যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্র চীনা কর্মকর্তাদের ওপর অতিরিক্ত ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মূল অভিযোগ ছিল—ওয়াশিংটনের কূটনীতিক, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তিব্বতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরই জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে চীন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, তিব্বত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তিব্বত চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না।” তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, তিব্বত উন্মুক্ত একটি অঞ্চল এবং সেখানে অনুমতি নিয়ে দলগতভাবে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি সাংবাদিক ও কূটনীতিকদের ভ্রমণের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।

লিন আরও বলেন, “চীন সব সময় বন্ধুপ্রতিম দেশের পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের তিব্বতে স্বাগত জানায়। তবে কেউ যদি মানবাধিকার, ধর্ম বা সংস্কৃতির অজুহাতে চীনের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাতে চায়—তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।” চীন স্পষ্ট করেছে, তিব্বতের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা নিয়ে তারা আপসহীন অবস্থান নেবে।

উল্লেখ্য, তিব্বত হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত এবং এর সীমান্ত ভারতের সঙ্গেও যুক্ত। ১৯৫০ সাল থেকে অঞ্চলটি চীনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহুবার দ্বন্দ্ব হয়েছে, যার মধ্যে ২০২3 সালের সংঘর্ষ ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী। আন্তর্জাতিকভাবে তিব্বতের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে বহু বিতর্ক থাকলেও চীন বরাবরই অঞ্চলটিকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এসেছে। এই সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোর্স: ইনকিলাব

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর